বালি ব্যবসায়ীকে মারধরের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট
একটি বালি খাদ থেকে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে গোঘাটের বেলি গ্রামের রাস্তায় কোরবান আলি মল্লিক নামে ওই ব্যবসায়ীকে ঘুষি মারা হয় এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। কোরবানকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বালি খাদ নিয়ে গোলমাল, সেটি গোঘাটের ভঞ্জপাড়া গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর। ‘তিনমূর্তি’ নামে স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ওই নদীর ১২৪ দাগ নম্বরের বালি তোলার অনুমতি পেয়েছে সেচ দফতর থেকে। ওই গোষ্ঠীর অভিযোগ কোরবান বালি খাদ দখলের চেষ্টা করছেন। অভিযোগ উড়িয়ে ওই দফতর থেকে একই ভাবে অনুমতি পেয়ে তিনি বালি তোলার কাজ করাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন কোরবান। কোরবানকে মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক মান্নান আলি মল্লিক বলেন, “কিছু দুষ্কৃতীকে এনে কোরবান সাত দিন ধরে বালি খাদটির দখল নিতে চাইছে। তারই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাঁকে মারধর করা হয়নি।” কোরবানের পাল্টা দাবি, “বৈধ অনুমতি নিয়েই গত ২০ বছর ধরে ওই দাগ নম্বর থেকে আমি বালি তুলছি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীই বালি খাদ দখল করে রেখেছে।” দু’পক্ষের এই বিবাদ নিয়ে সেচ দফতরের আরামবাগ ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়ম পাল বলেন, “দু’পক্ষের কাগজপত্র দেখা হবে। যদি দু’জনেরই বৈধ অনুমতি থাকে। তা হলে জেলার দামোদর সেচ-রাজস্ব বিভাগের সার্ভেয়ার খাদ-মালিকদের নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দেবেন।”
স্টিয়ারিং কমিটি
বিচারক মন্দাক্রান্তা সাহার অপসারণের দাবি তো রয়েছেই, এ ছাড়াও আগামী দিনে নানা আন্দোলনের জন্য হুগলির চারটি মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করলেন। শনিবার চুঁচুড়া বার লাইব্রেরিতে জেলার চারটি আদালতের প্রায় ১৫০ জন আইনজীবী বৈঠক করেন। বৈঠকে স্থির হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে শ্রীরামপুরের দেওয়ানি আদালতের (সিনিয়র ডিভিশন) বিচারক মন্দাক্রান্তা সাহার অপসারণের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করবে নতুন কমিটি। এ ছাড়াও, ভবিষ্যতে নানা আন্দোলনের রূপরেখাও তারা তৈরি করবে।