ফের বোমাবাজি, দুষ্কৃতীরা অধরাই

শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার বিকেলে বোমাবাজি হয় ব্যান্ডেল-নৈহাটি শাখার হুগলিঘাট স্টেশনে। রাতে ফের সেখানে একটি বাড়িতে বোমা পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কেউ অবশ্য ধরা পড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০০:১০
Share:

চিহ্ন: দেওয়ালে বোমার দাগ। নিজস্ব চিত্র

গুলি-বোমার বিরাম নেই হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায়।

Advertisement

শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার বিকেলে বোমাবাজি হয় ব্যান্ডেল-নৈহাটি শাখার হুগলিঘাট স্টেশনে। রাতে ফের সেখানে একটি বাড়িতে বোমা পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কেউ অবশ্য ধরা পড়েনি।

রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ ওই স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশেই বিকট আওয়াজ করে একটি বোমা ফাটে। যাত্রী এবং স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। কেউ অবশ্য হতাহত হননি। রাত ১১টা নাগাদ স্টেশন সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়ির দেওয়ালে বোমা ফাটিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। বোমার আওয়াজে স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। পুলিশ আসে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে সমাজবিরোধীরা এখানে ঢুকছে। স্টেশনের আশপাশে মদ-গাঁজার ঠেকে তাদের আনাগোনা লেগে থাকে। মোটরবাইকে চেপে তারা দাপিয়ে বেড়ায়। এতে পরিবেশ নষ্ট হলেও পুলিশ চোখ বুজে থাকে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা অমল সাধুখাঁর ক্ষোভ, ‘‘সন্ধ্যার পর থেকে হুগলি ঘাট স্টেশন চত্বর দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায়। বহিরাগতরা দুষ্কর্ম করে গঙ্গা পেরিয়ে চম্পট দেয়। পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে।’’ রেল পুলিশ এবং চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানান, দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলছে।

পুরবাসীর অভিযোগ, একের পর এক ঘটনায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি দ্রুতগতিতে মোটরবাইক চালানোর প্রতিবাদ করে ওই এলাকারই বাসিন্দা তথা হুগলি-চুঁচুড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান আশিস সেন এবং তাঁর কয়েক জন প্রতিবেশি দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে ব্যান্ডেলে জিটি রোডের ধারে কৌটোবোমা বিস্ফোরণে আনাজ বিক্রেতা এক মহিলার হাত উড়ে যায়। একটি ঘটনারও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

সূত্রের খবর, বছর দু’য়েক আগে চুঁচুড়ার পাঙ্খাটুলিতে প্রতিবন্ধী এক যুবককে খুনের অভিযোগে গণপিটুনিতে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। কয়েক জন মাদক বিক্রেতার দোকান এবং বাড়িতে ভাঙচুর চলে। বাসিন্দাদের দাবি, ওই ঘটনার পরে এলাকায় দুষ্কৃতী-তাণ্ডব কমেছিল। কিন্তু কিছু দিন ধরে দুষ্কৃতীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement