তৃণমূলের সুলভ ক্যান্টিন— নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ভোটের আগে হাওড়ায় জমে উঠেছে ক্যান্টিন রাজনীতি। এ বার তৃণমূলের সুলভ ক্যান্টিন নিয়ে কটাক্ষ শুরু করল বিরোধীরা।
তৃণমূলের তরফে হাওড়া শহরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গত সেপ্টেম্বরে দু’টি সুলভ ক্যান্টিন চালু হয়। নাম ‘মমতার মমতা’। উদ্দেশ্য সস্তায় গরিবদের খাবার দেওয়া। শুক্রবার দু’টি ক্যান্টিন ১০০ দিনে পা দিল। আনলক পরিস্থিতিতে সালকিয়া এবং বেলগাছিয়ায় চালু করা ওই সুলভ ক্যান্টিনে ১০ থেকে ১৫ টাকায় নিরামিষ এবং ২০ টাকায় মাছ, মাংস অথবা ডিমের ঝোলের মধ্যাহ্নভোজ মেলে। মূলত হাওড়া শিল্পাঞ্চলের ৮ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কারখানার শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবার এই খাবার নিয়ে যান।
ক্যান্টিনের ১০০ দিন এবং বড়দিন উপলক্ষে শুক্রবার বিশেষ মেনুর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ভাত, ডাল, তরকারি, মাংসের পাশাপাশি বড়দিনে ছিল কেক অথবা কমলালেবু। বিরোধীদের অভিযোগ, বামেদের যাদবপুর ক্যান্টিনের অনুকরণে তৃণমূলের এই উদ্যোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি, বামপন্থীদের নকল করে নয়, লকডাউনের কারণে আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গরিব পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। স্থানীয় কারখানার শ্রমিক সনৎ মণ্ডল শুক্রবার বলেন, ‘‘সস্তায় খাবার পেয়ে আমরা খুশি।’’
হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘‘হাওড়া শিল্পাঞ্চলে কোন ক্যান্টিন পরিষেবাও নেই। বাইরে খাবারের দাম বেশি। তাই কারখানার অনেক শ্রমিক দুপুরের সময় এখানে সস্তায় মধ্যাহ্নভোজন করে যান। এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার বাপি মান্না বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকি। তাই বিধানসভা ভোটের পরেও এই ক্যান্টিন চালু থাকবে।’’ যদিও হাওড়া সদর বিজেপি-র সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানান, তৃণমূলের ভোট টানার নতুন রাজনীতি হল ক্যান্টিন। এখন দেখার বিধানসভা ভোটের আগে রাজনীতিতে নতুন কী কী আনে শাসকদল।’’