গর্জন: সরকারি আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির। বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েতে। ছবি: সুশান্ত সরকার
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কাটমানি নেওয়া-সহ কয়েকটি অভিযোগে বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিচালিত পান্ডুয়ার বেলুন-ধামাসিন পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করল বিজেপি। স্মারকলিপিও দেয় তারা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নাম করে গ্রামের গরিব মানুষের থেকে কাটমানি নিয়েছেন তৃণমূলের কিছু পঞ্চায়েত সদস্য। জবকার্ডে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নাম তোলা হচ্ছে না। তৃণমূল সমর্থকদেরই নাম উঠছে। কয়েক মাস ধরে পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এ দিন বিক্ষোভের সময়ে সেই সব অকেজো নলকূপ সারানোরও দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বিনা টেন্ডারে একটি রাস্তা তৈরিরও অভিযোগ ওঠে।
বিক্ষোভের সময়ে প্রধান মমতা হাঁসদা পঞ্চায়েতে ছিলেন না। বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অফিসার অরিজিৎ সিংহের কাছে স্মারকলিপি দেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষে বিজেপির জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শেখ নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘‘গ্রামবাসী পানীয় জল পাচ্ছেন না। সবাই ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছেন না। কিছু সদস্য কাটমানি নিচ্ছেন। বিনা টেন্ডারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাই রাস্তা তৈরি করেছেন। তদন্ত হোক।’’
দুপুরে প্রধান পঞ্চায়েতে আসেন। অকেজো নলকূপ সারানো এবং ১০০ দিনের কাজে কাটমানি নেওয়ার লিখিত অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। প্রধান বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে বিনা টেন্ডারে রাস্তা তৈরির অভিযোগ পেয়ে আমরাই বিডিওকে জানিয়েছি।’’ বিনা টেন্ডারে রাস্তা তৈরির অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন বিডিও সাথী চক্রবর্তী।
তবে, এ নিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুল ইসলামের দাবি, ‘‘জগন্নাথপাড়ায় এলাকার মানুষের স্বার্থে একটি রাস্তা হয়েছে। জেলাশাসক থেকে বিডিও, সকলেই জানেন। ভাই নিজের টাকাতেই ওই কাজ করেছে। এখনও টাকা পায়নি।’’
অন্য দিকে, এ দিন সকালে আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েতের বাসুলিচকে প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য মনসুরা বেগমের বাড়িতেও কাটমানি ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। অভিযোগ, মনসুরা এবং তাঁর স্বামী বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের থেকে মাথাপিছু ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। পুলিশ যাওয়ার আগেই বিক্ষোভকারীরা চলে যান। মনসুরা অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘আমি বা স্বামী টাকা নিয়েছি কিনা ওঁদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। তেমনই ওঁরা আমাদের টাকা দিয়েছেন কিনা তারও প্রমাণ নেই।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।