প্রতিমা গড়ছেন চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র।
পেশায় চিকিৎসক। নেশা ঠাকুর গড়া।
ভদ্রেশ্বর শান্তিনগরের বাসিন্দা চিকিৎসক বিপ্লবেন্দু তালুকদার পেশাদার শিল্পীর মতো জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের প্রতিমা গড়েন। ছোটবেলা থেকেই এই তাঁর নেশা। ৪০ বছর ধরে ঠাকুর গড়ছেন মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগে কর্মরত এই চিকিৎসক।
বিপ্লেবেন্দুর পড়াশোনা চন্দননগর কানাইলাল স্কুল থেকে। স্কুলের পাঠ শেষ করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়েছেন। তার পর সেখানেই শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্লাড ব্যাঙ্কের স্টেট প্রোগ্রাম অফিসারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই সব গুরুদায়িত্ব সামলে রাতে বাড়ি ফিরে তৈরি করছেন জগদ্ধাত্রী প্রতিমা।
কাঠামোয় খড় বাঁধা থেকে মাটির প্রলেপ, রং করা থেকে ডাকের সাজে প্রতিমা সাজানো— সবই নিজের হাতে করেন বিপ্লবেন্দু। একজন পেশাদার চিকিৎসকের হাতে তৈরি জগদ্ধাত্রীর মূর্তি অবাক করে এলাকাবাসীদের। বিপ্লবেন্দু বলেন, ‘‘যেখানে বিজ্ঞান শেষ হয়, সেখান থেকেই শুরু হয় সুপার পাওয়ার। মা জগদ্ধাত্রী আমাকে শক্তি যোগান মূর্তি তৈরির জন্য।’’
বিপ্লবেন্দুর স্ত্রী সঞ্চয়িতা বলেছেন, ‘‘চক্ষুদানের পরেই যেন মায়ের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। বাড়ির উঠোনে তখন কয়েক দিনের জন্য এক নতুন সদস্যের আগমন ঘটে। পুজোর দিনগুলোয় প্রচুর বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন আসেন। শান্ত বাড়ি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। চার দিন ধরে চলে উৎসব। দশমীর দিন মাকে বিদায় দিতে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে।’’