দ্বিতীয় দিনে যোগ নতুন ১৫ সদস্যর, খোঁজই নিলেন না প্রশাসনিক কর্তারা

এ দিন নতুন করে গ্রামের আরও ১৫ জন মহিলা সেই ‘আমরণ অনশন’-এ যোগ দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

বিপর্যয়: স্যালাইন চলছে সুশীলবাবুর। নিজস্ব চিত্র

প্রতিশ্রুতির পর প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও নদীবাঁধ সংস্কারের দাবি না মেটায় সোমবার থেকে ফের ‘আমরণ অনশন’-এ বসেছেন আরামবাগের দ্বারকেশ্বর নদী বাঁধ সংলগ্ন সালেপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানুষ। অথচ অনশনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রশাসনের কেউ খোঁজই নিলেন না অনশনকারীদের।

Advertisement

এ দিন নতুন করে গ্রামের আরও ১৫ জন মহিলা সেই ‘আমরণ অনশন’-এ যোগ দিলেন। দুপুর থেকে স্থানীয় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনায় স্যালাইন দেওয়া শুরু হয়েছে অনশনের নেতৃত্বে থাকা সুশীলকুমার জানাকে। অসুস্থ সুশীলবাবু বললেন, “মহকুমাশাসক ফোন ধরছেন না। বিডিও ফোন ধরেননি। গত কয়েক বছর ধরে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন, সেচ দফতর, মহকুমা প্রশাসন কর্তারা আমাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করছেন। নদীগ্রাসের হাত থেকে গ্রাম বাঁচাতে আমার মৃত্যু হলে হোক। আমার মৃত্যুতে প্রশাসন দায়ী থাকবেন”।

নদী ভাঙন থেকে নিজেদের গ্রাম বাঁচাতে প্রায় আড়াই কিলোমিটার নদী বাঁধে বোল্ডার পাইলিং-এর দাবিতে আরামবাগের সালেপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুশীলকুমার জানার নেতৃত্বে গ্রামবাসীদের জনা ৪০ অনশন শুরু করেন। এ দিন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬০ জন। প্রশাসনের লোকজন না যাওয়ায় গ্রামে ক্ষোভও বাড়ছে। অনশনকারী মহিলাদের পক্ষে শম্পা ঘোড়ই বললেন, “আমাদের দাবি না মেটানো পর্যন্ত অনশন চালাব। গ্রাম বাঁচাতে মহিলারাও জড়ো হয়েছি।’’

Advertisement

গ্রামটি নদীর ধারে। গ্রামের উত্তর দিকে দ্বারকেশ্বর নদের পাড় ক্ষয়ে ক্রমশ গ্রামটি দখল করছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, “প্রায় প্রতি বছর বন্যায় ভাঙন হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০ বিঘা জমি সহ বাগান, ঘরবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। উত্তরের ওই নদীর পাড় বোল্ডার পাইলিং হলে তবেই গ্রামটা বাঁচবে”। এর আগে তাঁরা একই দাবিতে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে অনশন শুরু করেছিলেন। সে সময় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে ১২ অক্টোবর অনশন তুলেছিলেন।

বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রথম দিনেই সেচ দফতর থেকে বলা হয়েছে স্কিম পাঠানো আছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে। সকাল থেকে নানা প্রশাসনিক জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় সেখানে যেতে পারিনি। রাতে যাওয়ার চেষ্টা করব। তাঁদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement