প্রতীকী ছবি
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মজুরি মিলছে না, এই অভিযোগে সোমবার পান্ডুয়ার বেড়েলা-কোঁচমালি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত ভবন লাগোয়া জিটি রোড অবরোধ করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে প্রধান মামণি হাঁসদা অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। প্রধান বলেন, ‘‘কাজের মাত্রা অনুযায়ী মজুরি দেওয়া হয়। ফলে কেউ বেশি, কেউ কম মজুরি পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবুও অভিযোগ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে বিডিওকেও জানাব।’’
এ দিন শ’তিনেক গ্রামবাসী তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের সামনে জড়ো হন। অধিকাংশই মহিলা। প্রধান, উপপ্রধানের মদতে পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অবরোধের জেরে জিটি রোডে যানজট হয়ে যায়। পুলিশ আসে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তোলা দূরঅস্ত্, বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েত ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে, কর্মীরা ভিতরে আটকে পড়েন। প্রধান, উপপ্রধান বা অন্য কোনও সদস্য অবশ্য তখন পঞ্চায়েতে ছিলেন না।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে লক্ষ্মী রায় এবং মিনা তুড়ি বলেন, ‘‘সরকারি নিয়মে কাজ করি। কিন্তু সঠিক মজুরি দেওয়া হয় না। কেউ কাজে না-এলে, তাঁর জবকার্ডে টাকা তুলে নেওয়া হয়। পঞ্চায়েতে, ব্লক অফিসে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ পুলিশের মধ্যস্থতায় বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রধান এবং উপপ্রধান নিমাই ঘোষ পঞ্চায়েতে আসেন।
তবে, অন্যের জবকার্ডে টাকা তোলার অভিযোগ প্রধান মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামবাসীরা নির্দিষ্ট অভিযোগ করলে তদন্ত করা হবে।’’