পাশে: গোন্দলপাড়া চটকল খোলার দাবিতে শুক্রবার অবস্থান বিক্ষোভ করল বিজেপি। সন্ধ্যায় চটকলের গেটে ওই কর্মসূচিতে হাজির হন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে ওই চটকলের শ্রমিক বিশ্বজিৎ দে আত্মঘাতী হন। এ দিন মঞ্চে মৃত ওই শ্রমিকের মা, স্ত্রী এবং মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। ছবি: তাপস ঘোষ
এলাকার একটি রাস্তা এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘদিন বেহাল। সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে পান্ডুয়ার চিনাবাসুদেবপুর মোড়ে হুগলির দলীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। এ নিয়ে লকেটের সঙ্গে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীরা লকেটের কাছে ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার দাবি জানান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। শেষমেশ বিক্ষোভকারীরা সাংসদকে স্মারকলিপি দেন।
এ দিন বৈঁচির হরাল হাটতলায় দলের একটি প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন লকেট। সেই পথেই হাতনি এলাকার একটি রাস্তা এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কারের দাবিতে ওই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের হাতে দলীয় পতাকাও ছিল। পরে লকেট বলেন, ‘‘এলাকায় তৃণমূল কোনও কাজ করেনি। এমনকি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারও করেনি। তাই কিছু মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমি খতিয়ে দেখব।’’
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিজেপি কর্মী হেমন্তকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সাংসদকে স্মারকলিপি দেব বলেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎই সাংসদের সঙ্গে আসা দলের কিছু নেতাকর্মী তাঁর সামনেই আমাদের উপরে চড়াও হন। তবে সাংসদ আমাদের কথা শুনে স্মারকলিপিটি নিয়েছেন। দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন।’’
বিক্ষোভের মুহূর্তে। ছবি: সুশান্ত সরকার
বিক্ষোভকারীদের অবশ্য দলীয় কর্মী-সমর্থক বলে মানতে চাননি বিজেপির পান্ডুয়া মণ্ডলের সভাপতি অশোক দত্ত। তাঁর দাবি, ‘‘তৃণমূলের লোকজনই দিদির গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। দিদি অবশ্য সব সামলে নেন।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওখানে আমরা কেন যাব? বিজেপি মিথ্যা বলছে। সাংসদ পান্ডুয়া চেনেন না। উনি উন্নয়নের কথা জানেন না।’’ তবে, ওই রাস্তা এবং বেহাল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংস্কারের বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে আনিসুল জানিয়েছেন।