পুকুর থেকে জাল খোলার নির্দেশ দিচ্ছেন বন দফতরের কর্মী। নিজস্ব চিত্র।
দেশি পাখিরা তো আছেই। শীতের মরসুমে দলে দলে পরিযায়ী পাখি আসে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন পুকুর-ঝিলে। কিন্তু মাছ বাঁচাতে বহু পুকুর-ঝিলের উপরে জাল বিছিয়েছেন এক শ্রেণির মৎস্যজীবী। সেই ফাঁদে আটকে পাখিদের যাতে বেঘোরে প্রাণ না-যায়, সে জন্য তৎপর হল বন দফতর। সোমবার থেকে বন দফতরের উদ্যোগে শুরু হল জাল খোলা।
অনেক পাখিই মাছ খায়। কিন্তু সে জন্য পাখি আটকাতে এক শ্রেণির মৎস্যজীবীর জাল বিছানোর প্রবণতা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব পরিবেশপ্রেমীরা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখার ফুলেশ্বর স্টেশনের উত্তর দিকে বেশ কয়েকটি বড় বড় ঝিলে আস্তানা রয়েছে বক, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, নিশিবক, ডাহুক, জাকানা-র মতো পাখির। শীতের মরসুমে এই ঝিলে দেখা মেলে লেসার হুইসলিং ডাক, কমন পোচার্ড-সহ নানা পরিযায়ী পাখির।
পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, জালে আটকে পাখি মরছে। পরিযায়ী পাখিদেরও আনাগোনা কমছে। এই অভিযোগ পেয়েই বন দফতর মাঠে নেমেছে। বন দফতরের উলুবেড়িয়ার রেঞ্জ অফিসার সুকুমার সরকার বলেন, ‘‘বারবার আমরা বন্যপ্রাণী ও পাখি সংরক্ষণের জন্য নানা সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি। বেশ কিছু মানুষ সচেতন হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও সচেতন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেরাই ভূল বুঝতে পেরে জাল খুলে দিচ্ছেন।’’
উলুবেড়িয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আহ্বায়ক সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘পুকুর-ঝিল থেকে জাল সরাতে মৎস্যজীবীদের বলেছিলাম। বন দফতরকেও জানিয়েছিলাম। বন দফতর এই কাজ করায় আমরা খুশি।’’