পরখ: বাজির শব্দমাত্রা পরীক্ষা চলছে। মঙ্গলবার, ডুমুরজলার মাঠে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কলকাতা পুলিশের নিষিদ্ধ বাজির তালিকায় ছিল ১২৭টি। হাওড়ায় বাজির শব্দমাত্রা পরীক্ষায় ডাহা ফেল আরও তিনটি, ফাটেনি দু’টি। যার ফলে হাওড়া-সহ রাজ্যের বাজি বাজারে মোট ১৩২ রকমের বাজি বিক্রি করতে পারবেন না বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার হাওড়ার মোট তিনটি বাজি বাজারের আটটি নতুন বাজির শব্দমাত্রা পরীক্ষা ছিল ডুমুরজলা মাঠে। এই প্রথম হাওড়ায় এমন শব্দ পরীক্ষার ব্যবস্থা করে পুলিশ। পরীক্ষা করতে আসেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা। পুলিশ এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেও হাওড়া সিটি পুলিশের কোনও উচ্চপদস্থ কর্তা উপস্থিত ছিলেন না। এ বার যেহেতু বাজি বিক্রেতারাই বাজি বাজারের আয়োজন করেছেন তাই পুলিশ শুধু শব্দ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েই দায় সেরেছে বলে অভিযোগ। পরীক্ষা ব্যবস্থাতেও তাই দায়সারা ভাব দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, বাজি পরীক্ষার ব্যবস্থা হলেও দমকলের কোনও উপস্থিতি ছিল না। প্রস্তুত ছিলেন না বাজি বিক্রেতাদের নিয়ে গঠিত কমিটির লোকজনও।
কলকাতার মতো হাওড়ায় বাজি পরীক্ষাতেও ধোঁয়ার গুণমান পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি যে জায়গায় বাজি ফাটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেখানে বায়ুর অভিমুখে শব্দ পরীক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাজি কমিটির লোকজন। ডুমুরজলা বাজি মেলার সম্পাদক সৌমিত্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ডুমুরজলার মাঠে যেখানে শব্দমাত্রা পরীক্ষা করেছে পর্ষদ, সেখানে বায়ুর অভিমুখ শব্দমাত্রা পরীক্ষার যন্ত্রের দিকেই ছিল। যার ফলে ছোট বাজির শব্দমাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল।’’ এ প্রসঙ্গে এক পর্ষদকর্তা বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই বাজি পরীক্ষা হয়েছে। এখন ওঁদের বাজি বাতিল হওয়ায় অনেক কথা বলছেন।’’
এ দিন মোট যে আটটি বাজি ফাটানো হয়, তার মধ্যে দু’টি বাজি ফাটেনি। কয়েকটি বাজি থেকে আওয়াজ কম বেরোলেও ধোঁয়ায় চারদিক ভরে যায়। পরে রাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে পাঁচটি বাজিকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ দিন নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে পথে নামেন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। উত্তর হাওড়ায় এ দিন এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। তাতে পা মেলান রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। এই পদযাত্রার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে অবগত করা যাতে দীপাবলি উৎসবে কেউ নিষিদ্ধ শব্দবাজি না ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, ডিজে না বাজানো নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়।