— প্রতীকী চিত্র।
উদ্দেশ্য, উত্তর হাওড়ায় প্রতিটি বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে সালকিয়ার নতুন জলপ্রকল্পের কাজ। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেএমডিএর তত্ত্বাবধানে চলা এই কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা। এর ফলে উত্তর হাওড়া এবং বালি বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন বলে বিধায়কের দাবি।
হাওড়া পুর এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ হয় পদ্মপুকুর জল প্রকল্প থেকে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই জল পান করেন। কিন্তু উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সেই জল পেতে সমস্যা হত। কারণ, ছয় কিলোমিটার দূরে পদ্মপুকুর থেকে জল আসায় জলের প্রেসার কম হয়ে যেত। অনেক সময় খারাপ জলও আসত। তাই তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে উত্তর হাওড়ায় নতুন জল প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন জল প্রকল্পের প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই তাতে সায় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ শুরু হয়েছে। বিধায়ক জানান, সালকিয়া স্কুল রোডের ধারে গঙ্গা থেকে জল তোলা হবে। সেই জল নবনির্মিত বুস্টিং ও পাম্পিং স্টেশনে নিয়ে এসে, পরিশ্রুত করে বিভিন্ন এলাকায় ট্যাঙ্কে পাঠানো হবে। প্রতিদিন আনুমানিক দু’কোটি গ্যালন জল সরবরাহ করা যাবে। জটাধারী পার্ক, বামুনগাছি, ফকিরবাগান, জয়সওয়াল মোড় ও ফায়ার ব্রিগেড মোড়ে মোট পাঁচটি ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বামুনগাছিতে ট্যাঙ্ক নির্মাণের কাজ শেষ। বিভিন্ন এলাকায় নতুন পাইপ লাইনও বসছে। এই প্রকল্পের ফলে হাওড়ার উত্তরাংশে পানীয় জলের সমস্যা স্থায়ী ভাবে মিটবে বলে বিধায়কের দাবি।