(বাঁ দিকে) নিল গেইম্যান। জেকে রাউলিং (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বিপাকে জনপ্রিয় ব্রিটিশ লেখক নিল গেইম্যান। ‘স্যান্ডম্যান’ খ্যাত লেখকের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে তাঁরা নিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটির নাম ‘দেয়ার ইজ় নো সেফ ওয়ার্ড’। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘সুরক্ষিত শব্দ বলে কিছু নেই’। ওই প্রতিবেদনে মোট আট জন মহিলা বিভিন্ন সময়ে তাঁদের সঙ্গে নিলের আচরণের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। এর মধ্যে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নিল এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী আমান্ডা পামারের সন্তানের ন্যানি স্কারলেট পাভলোভিচের অভিজ্ঞতা। তিনি দাবি করেছেন, এক সময়ে নিল তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। পাশাপাশি, নিলের বেশ কিছু তথাকথিত বিকৃত যৌন অভীপ্সা প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেছেন স্কারলেট। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালে নিলের বাড়িতে কাজ করতে শুরু করার পর থেকেই তাঁর উপর বিভিন্ন সময়ে যৌন নিপীড়ন করতেন নিল।
নিলের বিরুদ্ধে মহিলারা যে সমস্ত অভিযোগ এনেছেন, তার সময়কালের ক্রম শুরু হচ্ছে ২০০৩ সাল থেকে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে চর্চা। গত বছর জুলাই মাসে একটি পডকাস্টে নিলের বিরুদ্ধে প্রথম যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন পাঁচ জন মহিলা। তার পর থেকেই লেখক শিল্পজগতের বিরাগভাজন হয়েছেন। নিলের লেখা একাধিক বই থেকে তৈরি হয়েছে সিনেমা এবং জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ। কিন্তু অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ‘দ্য গ্রেভইয়ার্ড বুক’, ‘দ্য স্যান্ডম্যান’ এবং ‘গুড ওমেনস’-এর তৃতীয় সিজ়নের কাজ নির্মাতারা বন্ধ করে দিয়েছেন।
নিল গেইম্যানের বিরুদ্ধে সাহিত্য জগতের নীরবতাকে কটাক্ষ করেছেন হ্যারি পটার সিরিজ়ের লেখিকা জেকে রাউলিং। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘সাহিত্যপ্রেমীদের একটা বড় অংশ, যাঁরা চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভি ওয়েস্টাইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে মুখ খুলেছিলেন, তাঁরা এখন নিল গেইম্যানের ক্ষেত্রে অদ্ভুত ভাবে নীরব। একাধিক অল্পবয়সি মহিলা যে ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন, হার্ভির ঘটনার সঙ্গে তার খুব বেশি পার্থক্য নেই।’’ উল্লেখ্য, ২০১৭-এ ১২ জন মহিলা প্রযোজক ওয়েস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নিল অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।