বধূর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে সবাইকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে আটক হন যুবক। —প্রতীকী চিত্র।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় বধূর বাড়িতে আগুন দিয়ে সবাইকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। হুগলির পোলবার সুগন্ধার ঘটনা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, জনৈক দীনবন্ধু ঢ্যাং-এর স্ত্রীর ফেসবুকে আলাপ হয় সপ্তগ্রামের অঞ্জন পাত্রের সঙ্গে। সেই আলাপ একটু গভীর হয়েছিল। নিয়মিত ফোনে কথা হত দু’জনের। কিছু দিন তাঁরা একসঙ্গেও ছিলেন। সম্প্রতি সংসারে ‘মন’ দিতে চেয়েছিলেন বধূ। এতেই নাকি গোঁসা হয় অঞ্জনের। খুনের চেষ্টা করা হয় তাঁকে, অভিযোগ বধূর।
ওই বধূর অভিযোগ, প্রথমে তিনি এবং অঞ্জন ভাল বন্ধু ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁকে সম্পর্কে থাকতে জোর করেন অঞ্জন। বলেন, একসঙ্গে থাকতে। গত জুন মাসে এক বার স্বামীর ঘর ছেড়ে অঞ্জনের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু অঞ্জন তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এ জন্য ৩ মাস অঞ্জনের সঙ্গে থাকার পরে স্বামীর কাছে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে যুবকের কাছ থেকে হুমকি আসত বলে অভিযোগ। দেখা করার জন্য জোর করতে থাকেন অঞ্জন।
শুক্রবার অমরপুর ফুটবল মাঠে অঞ্জনের সঙ্গে তিনি বাধ্য হয়ে দেখা করতে যান বলে দাবি করেছেন বধূ। সুগন্ধা-দিল্লী রোডের কাছে একটি বাড়ি আছে তাঁর। সেখানে এসে অঞ্জন তাঁকে সম্পর্কে থাকতে জোর খাটাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। বধূর স্বামী তাঁকে বিরত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু নাছোড়বান্দা অঞ্জন ‘দেখে নেব’ হুমকি দিয়ে তখনকার মতো চলে যান।
এর পর গভীর রাতে দীনবন্ধুর অন্য একটি বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে পুলিশ এবং দমকলে খবর দেন প্রতিবেশীরা। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে অবশ্য ঘরের সমস্ত আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
এখন বধূর অভিযোগ, ‘‘এটা অঞ্জনেরই কাণ্ড। সম্পর্ক রাখতে চাইনি বলে ফেসবুকে আমার খারাপ ছবি ছেড়ে দিত (পোস্ট করত)। বলত, আমাদের পুড়িয়ে মেরে দেবে। আমরা যে অন্য বাড়িতে আছি জানত না। তাই এই বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। কপাল ভাল আমরা কেউ ছিলাম না।’’ বধূর শ্বশুর পরেশ ঢ্যাং জানান, দিন পনেরো কেউ তাঁরা ওই বাড়িতে থাকতেন না। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ তাঁরা জানতে পারেন যে আগুন দেওয়া হয়েছে বাড়িতে।
বধূ ও তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পোলবা থানার পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।