Hooghly

Hooghly: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা, স্বামীকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে

সুশান্ত নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য পড়ে যায়। ওই বধূর বাপের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৫০
Share:

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ার কারণেই স্বামী বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ার কারণেই স্বামী বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে। হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য পড়ে যায়। ওই বধূর বাপের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত স্বামীর নাম সুশান্ত মিস্ত্রি। বয়স ৪০। রবীন্দ্রনগরের চারের গোড়ার পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা তিনি। বছর ২০ আগে ওই এলাকারই বাসিন্দা সাথী কুলুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবীন্দ্রনগরেরই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাথী। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। এই নিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে সুশান্তকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে সাথীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, গত বুধবার সুশান্তকে বিষ খাইয়ে বাড়িতে তালা গিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি।

এর পর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। ওই দিনেই অর্থাৎ বুধবার বিকেলেই মৃত্যু হয় সুশান্তের। এই খবর এলাকায় জানাজানি হতেই সাথীর বাপেরবাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। গণ্ডগোলের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকেও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর পরেই সাথীর মা ও বাবাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের তরফে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়।

Advertisement

সাথীর বাবা দেপাল কুলুর অবশ্য দাবি, ‘‘জামাই মদ খেয়ে বাড়ি আসত। তা নিয়েই অশান্তি হত মেয়ের সঙ্গে। মেয়ের সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষের সম্পর্ক ছিল বলে জানি না। জানলে প্রশ্রয় দিতাম না। জামাই ঘাস মারা বিষ খেয়েছিল। বাড়িতে জানায়নি। কয়েক দিন পর যখন জানায়, সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement