ফাইল চিত্র।
প্রতিদিন সাফাইকর্মীরা নিকাশি নালা ঠিক মতো পরিষ্কার করছেন কি না, তা দেখতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করল হাওড়া পুরসভা।
পুরসভার কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার, আধিকারিক এবং প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই গ্রুপ। নর্দমা পরিষ্কারের কাজ নিয়মিত হচ্ছে কি না, তার উপরে নজরদারি চালাতেই এই ব্যবস্থা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। বরাত অনুযায়ী কাজ খতিয়ে দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা পুর প্রশাসকমণ্ডলীকে রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্ট দেখে পুর প্রশাসকমণ্ডলী যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নেবে।
পুজোর আগে নিকাশি সমস্যা এবং রাস্তাঘাট মেরামতি— এই দু’টিকে পাখির চোখ করে কাজ করছে পুরসভা। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরাও দু’টি দলে ভাগ হয়ে এই কাজ দেখাশোনা করছেন। এলাকায় কাজের অগ্রগতি কতটা হল, তা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি বা ভিডিয়ো দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন হাওড়া পুরসভার কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারেরা। এমনকি নর্দমা পরিষ্কার করা নিয়ে কোনও এলাকায় বাসিন্দাদের অভিযোগ থাকলে সেটিও এই গ্রুপের মাধ্যমে পুর আধিকারিকদের জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। ফলে এ সব সহজেই নজরে আসছে পুরসভার কমিশনার থেকে শুরু করে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সনের।
হাওড়া পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সৈকত চৌধুরী বলেন, ‘‘কাজের বরাত অনুযায়ী ঠিক মতো সব কিছু হচ্ছে কি না, তা দেখতে এই গ্রুপ করা হয়েছে। কাজের ছবিও সঙ্গে সঙ্গে পাঠাতে বলা হয়েছে।’’
চলতি বর্ষায় নিকাশি সমস্যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দারা জমা জল নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। অবশেষে পুরসভা নিকাশি সংস্কারের জন্য দল তৈরি করে এলাকা ধরে ধরে ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। সেই কাজের নজরদারিতেই এ বার এমন ব্যবস্থা।
এ দিকে, নিকাশি সংস্কারের কাজের জন্য বুধবারও কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়ারেরা ইছাপুরে দু’টি পাম্প হাউস পরিদর্শন করতে যান। পুরসভা সূত্রের খবর, ইঞ্জিনিয়ারেরা সেখানে গিয়ে দেখেন, চারটি পাম্পের মধ্যে দু’টিই খারাপ হয়ে পড়ে আছে। সেগুলি দ্রুত সারানোর আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।