নির্দলদের নিয়েই চাঁপদানিতে ক্ষমতা দখলের ইঙ্গিত দিল তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
নির্দল প্রার্থীদের দাপটে হুগলির চাঁপদানি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও বোর্ড গঠনের বিষয়ে নিঃসংশয় তৃণমূল। চাঁপদানির বিদায়ী পুর প্রশাসক সুরেশ মিশ্র বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘নির্দলদের নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। ইতিমধ্যেই জয়ী ছ’জন নির্দল কাউন্সিলর লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, বিনা শর্তে তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করবেন। বোর্ড তৃণমূলই গড়বে।’’
চাঁপদানি পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে এ বার তৃণমূল ১১টি এবং নির্দল প্রার্থীরা ১০টিতে জয়ী হয়েছেন। কংগ্রেস জিতেছে একটিতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী নির্দলেরা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে দলেরই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক জনকে বহিষ্কারের কথাও ঘোষণা করা হয় ভোটের আগেই। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন পুরসভায় বহিষ্কৃত যে নির্দলেরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের দলে ফেরানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
সুরেশ বৃহস্পতিবার চন্দননগর মহকুমা দপ্তরে তার জয়ের শংসাপত্র নিতে আসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘চাঁপদানি মূলত জুটমিল এলাকা। মিশ্র ভাষাভাষী মানুষের বাস। তাদের মধ্যে হিন্দিভাষী এলাকা রয়েছে। জুট মিল বন্ধ থাকার ক্ষোভ হয়ত তাঁদের মধ্যে রয়েছে। তবে নির্দল কোনও ফ্যাক্টর হবে না। এটা চাঁপদানির একটা ট্র্যাডিশন। প্রতিবারই একাধিক নির্দল কাউন্সিলর থাকেন। ২০১০ সালেও নির্দলদের নিয়ে বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল।’’
প্রসঙ্গত, হুগলি জেলায় ১২টি পুরসভার মধ্যে এ বার ১১টিতে একচেটিয়া জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেখানে চাঁপদানি পুরসভা ব্যাতিক্রম। ভোটের আগে সুরেশ বলেছিলেন, ‘‘নির্দল ফ্যাক্টর হবে না’’। কিন্তু ভোটের পরে সেই নির্দলই ফ্যাক্টর হয়ে গেল। জেলা তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁদের একাংশকে নিয়েই বোর্ড গড়া হতে পারে।