বাঁ দিকে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, ডান দিকে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। নিজস্ব চিত্র
দুই শিবিরের দুই প্রার্থী। কিন্তু দু’জনেই সমনামী। এক জন, বিশ্বজিৎ দাস, তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে ভোটে লড়ছেন আর এক বিশ্বজিৎ দাস। হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কোন বিশ্বজিতের ঝুলিতে যেতে চলেছে তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে লড়াই বিশ্বজিৎ বনাম বিশ্বজিতের। দুই প্রার্থীই জোরকদমে চালাচ্ছেন ভোটপ্রচার। ওই ওয়ার্ডে জয় নিয়ে আশাবাদী দু’জনেই। দু’জনের নাম এক হওয়ায় কি ভোটার মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে? তৃণমূলের বিশ্বজিৎ ‘ইতিহাস’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় বিজেপি-র বিশ্বজিৎকে হারিয়ে তিনি কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘নাম নিয়ে মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, সকলেই তৃণমূলের প্রতীক চেনেন। এর আগেও ওই বিশ্বজিৎ বিপুল ভোটে হেরেছিলেন। এ বারও হারবেন। নাম এক হলেও ভোটাররা মোটেই বিভ্রান্ত হবেন না।’’
রাজ্যে সদ্য ঘটে যাওয়া চার পুরনিগমের ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে কোথাওই বিজেপি-র আসন দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি। এই আবহে বিশ্বজিতের ব্যাখ্যা, ‘‘এলাকার লোকজন সন্ত্রস্ত। কেউ ভয়ে মুখ খুলছেন না। নাম এক হলেও সকলেই প্রতীক দেখেই ভোট দেন।’’ তৃণমূলের বিশ্বজিতের সঙ্গে আগের বারের নির্বাচনী যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এর আগে ২০১৫ সালেও আমাদের লড়াই হয়েছে। সেই সময় সন্ত্রাস সত্ত্বেও আমরা অনেক ভোট পেয়েছিলাম।’’ তবে বিজেপি-র তোলা সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল শিবিরের নেতারা।