মা-বাবা ও দাদার সঙ্গে সম্পূর্ণা। নিজস্ব চিত্র।
দাদা উচ্চ মাধ্যমিকে নবম হয়েছিলেন। সেই ফলপ্রকাশের দিন দাদাকে নিয়ে বাবা-মায়ের হাসিখুশি মুখটাই ছিল তার অনুপ্রেরণা। দাদার মতোই পরীক্ষায় ভাল ফল করতে চেয়েছিল সে। মাধ্যমিকে ষষ্ঠ হয়ে আরামবাগের সম্পূর্ণা নন্দীর খেদ ‘ভেবেছিলাম এক থেকে তিনের মধ্যে নাম থাকবে।’ যদিও এত জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সে যে ষষ্ঠ হয়েছে, তাতেই ভীষণ খুশি বাবা-মা-দাদা। সম্পূর্ণা জানিয়েছে, সে ডাক্তার হতে চায়।
হুগলির আরামবাগ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সম্পূর্ণার মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। বাবা দেবাশিস নন্দী স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করেন। মা রত্না নন্দী গৃহবধূ। শুক্রবার দাদার পাশে বসে সম্পূর্ণা জানিয়ে দেয়, দাদার মতোই ডাক্তারি পড়তে চায় সে। দাদাই তার অনুপ্রেরণা। তার দাদা শুভ্রজ্যোতি নন্দী উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থান অধিকার করেছিলেন। এখন তিনি দিল্লির এমসে ডাক্তারি পড়েছেন। সম্পূর্ণার কথায়, ‘‘সাফল্যের জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে। তবে শুধু পড়াশোনা নয়, আমি গল্পের বই পড়েছি। আঁকতে খুব ভালবাসি। গিটার নিয়ে গান করতেও ভাল লাগে।’’
হুগলি জেলা থেকে মাধ্যমিকে প্রথম দশমে রয়েছে আরও এক পড়ুয়া। হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলের ছাত্র ঋতব্রত দাস। বাড়ি চুঁচুড়ার সুজনবাগানে। বাবা স্নেহময় দাস পোলবা দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী। মা স্বাতী ভট্টাচার্য দাস সোমড়াবাজার বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকা। ঋতব্রতর প্রিয় বিষয় ভৌতবিজ্ঞান। ঋতব্রতও ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।