চারা গাছ লাগানো হচ্ছে। গোঘাটের কামারপুকুর ডাকবাংলো এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।
আরামবাগ থেকে খানাকুল বন্দর পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কোপ পড়বে ১৮৫টি গাছে। বন দফতরের অনুমতি পেলেও সেই কাজ এখনও শুরু করেনি পূর্ত (সড়ক) দফতর। তার আগেই বন দফতরের আইন অনুযায়ী কাটার তালিকায় থাকা প্রতিটি গাছপিছু ৫টি করে গাছ লাগানো শুরু করল তারা।
মহকুমা পূর্ত (সড়ক) দফতরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুর হাসেন বলেন, “আরামবাগ-বন্দর রোড সাড়ে ৫ মিটার থেকে ৭ মিটার চওড়া করা হবে। বন দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রায় ১৯ কিলোমিটারের মধ্যে যত গাছ কাটা পড়বে সেই গাছপিছু ৫টি করে গাছ লাগাচ্ছি আমরা। আপাতত কামারপুকুর-হাজিপুর রাস্তায় গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। অন্যান্য রাস্তাতেও বৃক্ষরোপণ করা হবে।”
শাল, সেগুন-সহ রোপণ করা বিভিন্ন গাছ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেড়াও দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের তা নজরদারির অনুরোধও করা হয়েছে বলে জানান ওই পূর্তকর্তা। গাছের চারা কেনা হচ্ছে বিভিন্ন নার্সারি থেকে।
পূর্ত দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য নিজেদের কাটা গাছ ছাড়াও যে সব জায়গা থেকে গাছ চুরি হয়ে গিয়েছে, সেই সব ফাঁকা জায়গাতেও অতিরিক্ত চারা লাগানো হবে।