—প্রতীকী চিত্র।
চটি হাতে মারতে উদ্যত হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্ত! সমাজমাধ্যমে এমনই ভিডিয়োকে (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ঘিরে সোমবার শোরগোল পড়ল শহরে। মারতে চাওয়ার কথা না মানলেও চটি হাতে তুলে দেখানোর কথা স্বীকার করেছেন রীতা।
কিন্তু কেন? রীতা বলেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যায় পাড়ার ক্লাবে দুর্গাপুজো সংক্রান্ত সভা ছিল। সেখানে হিসেবের গরমিল থাকায় আমার স্বামী প্রশ্ন তোলেন। যার জেরে স্বামীর উপরে চড়াও হন ক্লাবের কিছু সদস্য। তাই আমি সেখানে গিয়ে তাঁদের জুতো দেখিয়েছি।’’ ক্লাব সম্পাদক শুভাশিস চন্দ ওরফে ভুটানের পাল্টা দাবি, প্রতি মাসেই হিসেব সংক্রান্ত সভা হয়। এ দিন কোনও গরমিল হয়নি। রীতা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ওই রাতেই দু’পক্ষ থানার দ্বারস্থ হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ক্লাবের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাঁরা নিজেরাই মিটিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রীতার বাড়ির উল্টোদিকে ওই ক্লাবটি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ক্লাবের পাশেই ওলাইচণ্ডীর মন্দির এবং দুর্গাপুজোর মাঠ। মন্দিরে নিত্যদিন পুজো হয়। দোলের পরের শনিবার বার্ষিক পুজো এবং বিরাট মেলা হয়। মন্দির দেখভালের জন্য ট্রাস্টি রয়েছে। দুর্গাপুজোর আয়োজন করে অন্য কমিটি। ক্লাবের নামে রয়েছে নিজস্ব কমিটি। তবে, মূলত ক্লাবের সদস্যেরাই ট্রাস্টি ও পুজো কমিটিতে রয়েছেন। ট্রাস্টি থেকে ৫০ হাজার টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলেন রীতার স্বামী স্বপন। স্বপনের দাবি, মন্দিরের উন্নতিকল্পে সাধারণ মানুষের দানের টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে কেন
দেওয়া হবে, এ নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন রবিবার।
ভুটান ওই ট্রাস্টিরও সম্পাদক। তিনি অবশ্য বলেন, "দুর্গাপুজো কমিটির ছেলেরাই মন্দিরের নানা বিষয় সামলান। মেলায় তাঁদের প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। তাই ওই সব ছেলেদের দুর্গাপুজোর জন্য ট্রাস্টির কিছু দায় বর্তায়। এ কথা ভেবেই ট্রাস্টি থেকে ৫০ হাজার টাকা তাঁদের দেওয়া হয়েছে।’’