plastic bag

Plastic Usage: নজরদারির ফাঁক গলে, দেদার প্লাস্টিক হাওড়ায়

 উলুবেড়িয়া পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, কিছু দোকানি ৭৫ মাইক্রনের উপরে প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ০৮:৩১
Share:

অবাধ: হাওড়ার অনেক এলাকাতেই এখনও আনাজ বিকিকিনি চলছে পাতলা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে। নিজস্ব চিত্র

নির্দেশ জারির পর পাতলা প্লাস্টিক ব্যবহার করলেই জরিমানার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল হাওড়ার পুরএলাকায়। পুরসভার দাবি, তার জেরে এলাকায় প্লাস্টিক ব্যবহার কিছুটা কমেছে। তবে নজরদারি কমলেই চোরাগোপ্তা ব্যবহার হচ্ছে সেটি। আর পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে সেখানে পাতলা প্লাস্টিক ব্যবহার চলছে রমরমিয়ে।

Advertisement

উলুবেড়িয়া পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, কিছু দোকানি ৭৫ মাইক্রনের উপরে প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন। কিন্তু মহকুমা আদালত এলাকা, মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা, এগারো ফটক এলাকায় দোকানদাররা এখনও নির্ভরশীল পাতলা প্লাস্টিকের উপরই। শুধু তাই নয়, দোকান বা বাজারে যাঁরা কেনাকাটা করতে আসছেন তাঁদের হাতেও চট বা কাপড়ের ব্যাগ নেই। অনেক সময় তাঁরাই বিক্রেতাদের প্লাস্টিক দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছেন। খাদিনান গ্রামের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, ‘‘ক্রেতারা অনেকেই ব্যাগ আনছেন না। মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগের অনেক দাম। তাই বাধ্য হয়ে পাতলা প্লাস্টিকের ব্যাগ দিতে হচ্ছে।’’ অন্য এক আনাজ বিক্রেতার কথায়, ‘‘আমি মোটা প্লাস্টিকের ব্যাগ দিচ্ছি। তবে তার জন্য এক টাকা করে নিচ্ছিও।’’

পরিবেশকর্মী জয়িতা কুন্ডু কুঁতি বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। কিন্তু যাঁরা দোকানে কেনাকাটা করতে আসছেন তাঁরা যদি সচেতন না হন তাহলে পুরোপুরি প্লাস্টিক বন্ধ করা সম্ভব হবে না।’’ উলুবেড়িয়ার পুরপ্রধান অভয় দাস বারবার জোর দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের সচেতনতার উপরে। তাঁর কথায়, ‘‘পাতলা প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে আমরা দোকানি এবং খরিদ্দার উভয়ের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করছি। তার সঙ্গে জোর দিচ্ছি সচেতনতা বৃদ্ধির উপরেও। ধীরে ধীরে সুফল মিলছে। তবে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত এলাকায় পাতলা প্লাস্টিক বন্ধে নামমাত্র প্রচার চলছে। জরিমানার বালাই নেই। ফলে সেখানে রমরমিয়ে চলছে পাতলা প্লাস্টিকের ব্যবহার। এলাকার বাসিন্দারা নয়া নির্দেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু অধিকাংশই বাজার করতে বেরোচ্ছেন খালি হাতেই। বছর তিরিশের এক যুবকের কথায়, ‘‘সব সময় মনে করে ব্যাগ নিয়ে বেরোতে পারি না। টাকা দিলেই তো বাজার বিক্রেতারা প্লাস্টিক দেন। নয়া নির্দেশ সম্পর্কে জানি। কিন্তু সব সময় তা মানা হয় না।’’ বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধ অবশ্য বলেন, ‘‘আগে তো আমরা চটের ব্যাগ নিয়েই বেরোতাম। এখনও তাই যাই।’’ সাঁকরাইলের এক ওষুধ বিক্রেতা বলেন, ‘‘কেউ ওষুধ কেনার জন্য ব্যাগ আনেন না। তাই পাতলা প্লাস্টিকই দিতে হয়। কী করব, খদ্দেরকে ফিরিয়ে তো দিতে পারি না!’’

তার কুফলও পঞ্চায়েত এলাকার অনেক জায়গায়। নালা বুজছে প্লাস্টিকে, যত্রতত্র প্লাস্টিক বর্জ্য। বর্ষায় সহজেই জলে ভাসছে এলাকা। জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘‘জেলার সর্বত্রই পাতলা প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে সচেতনতা প্রচার চলছে। জরিমানাও করা হচ্ছে। অনেকেই সচেতন হয়েছেন। বাকিদেরও এ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। না হলে আমাদের সকলের আর পরিবেশের সমূহ বিপদ।’’

(তথ্য সহায়তা: নুরুল আবসার ও সুব্রত জানা)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement