ক্লাবের সামনে জমে আছে জল, পড়ে আছে মণ্ডপ বাঁধার বাঁশ। পাঁচলায়। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজো দোরগোড়ায়। অথচ, একের পর এক নিম্নচাপে জেরবার পুজোকর্তারা। পাড়ায় পাড়ায় এসে গিয়েছেন মণ্ডপশিল্পীরা। কিন্তু, টানা বৃষ্টি আর তার জেরে জমা জল-কাদায় প্রস্তুতির কাজ পদে পদে
হোঁচট খাচ্ছে।
এমনিতেই করোনা আবহে সাত-পাঁচ ভেবে পুজোর আয়োজন করতে হচ্ছে। তার উপরে আবহাওয়ার মতিগতিতে পুজোকর্তাদের অবস্থা কার্যত ‘মরার উপরে খাঁড়ার ঘা’। টানা কয়েক দিন বৃষ্টির পরে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রোদ উঠলেও মৌসম ভবন ফের দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে। একাধিক নিম্নচাপের আশঙ্কা করছেন তারা। সব মিলিয়ে হাওড়া-হুগলির পুজো উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত।
হুগলিতে গঙ্গাপাড়ের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি পঞ্চায়েত এলাকাতেও পুজো প্রস্তুতির পরিস্থিতি একই। উত্তরপাড়ার ভদ্রকালী এলাকার বলাকার পুজোর থিম ‘প্রকৃতি পেল ছন্দ, মানুষ যখন ঘরবন্ধ’। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘‘এক মাস আগেই কারিগরেরা এসে গিয়েছেন। মাঠে কাদা এড়াতে ত্রিপল দিয়ে অনেকটাই ঢেকেছি। মণ্ডপে রং, সুতোর কাজ আছে। বৃষ্টি পদে পদে বাধা হচ্ছে।’’ এই পুরসভার মাখলা এলাকায় চাষখাল উপচে ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু এলাকা ভাসছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর খোকন মল্লিক বলেন, ‘‘যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আমরা আতঙ্কিত। আবার নিম্নচাপের খবর পাচ্ছি। বৃষ্টি না কমলে পুজো কমিটিগুলিও সমস্যা পড়ছে।’’
টানা বৃ্ষ্টির জন্য হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় মণ্ডপ বাঁধার কাজ শুরুই করা যায়নি। পাঁচলা নেতাজি সঙ্ঘের সম্পাদক অজিত পাড়ুই বলেন, ‘‘মণ্ডপ বাঁধার জন্য বাঁশ ফেলা হয়েছে দিন দশেক আগে। মাঠে জল জমে। মণ্ডপ বাঁধা হবে কী করে!’’ একই অবস্থা বাজারপাড়া বিবেকানন্দ স্পোর্টিং অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার দুর্গাপুজো কমিটির। পুজো উদ্যোক্তা বন্দনা রায় বলেন, ‘‘প্রতি বছর অনেক আগে থেকেই থিম অনুযায়ী মণ্ডপের কাজ শুরু করি। এই বছরে কাজ শুরু করেও বৃষ্টির গেরোয় পড়লাম। মা দুর্গাই এখন ভরসা।’’