bridge collapse

নির্মাণ চলাকালীনই হুড়মুড়িয়ে ভাঙল সেতু, ঠিকাদার সংস্থাকে ঘিরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নির্মাণের কাজ। যদিও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঠিকাদারি সংস্থা। গ্রামবাসীদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৩
Share:

নির্মাণকাজ চলাকালীনই ভেঙে পড়ল সেতু! — নিজস্ব চিত্র।

নির্মাণকাজ চলাকালীন ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং লোহার রড ছাড়াই সেতু ঢালাইয়ের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঠিকাদারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় সেতু নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি হুগলির হরিপাল থানার দ্বারহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের পার্বতীপুর গ্রামের। যদিও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঠিকাদার সংস্থা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২৬ নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে পার্বতীপুর গ্রামে ঢুকতে হলে খাল পার হতে হয়। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, খালের উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণের। গ্রামবাসীদের দাবি মেনে কিছু দিন আগে শুরু হয় সেতু নির্মাণের কাজ। মঙ্গলবার সেতু ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কাজ চলাকালীন হঠাৎই হুড়মুড় করে ধসে যায় নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ।

গ্রামবাসীদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, সেতু ঢালাইয়ের জন্য কোনও লোহার রড ব্যবহারই করা হয়নি! শুধু সিমেন্ট ও বালি দিয়েই ঢালাই হচ্ছিল। ফলে কাঁচা সিমেন্টের ভার সইতে না পেরে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। সেতু নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী করারও অভিযোগ রয়েছে। গ্রামবাসীরা বলছেন, কাজের বর্ণনা দিয়ে প্রকল্পের বোর্ড লাগানো দস্তুর। তা দেখে সকলে বুঝতে পারেন, কত টাকা খরচ হচ্ছে, কবে কাজ শুরু এবং শেষ হওয়ার সময়সীমা কবে। কিন্তু সেই বোর্ডও লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রকল্প ব্যয় ও সেতুর নির্দিষ্ট মাপ কত তা সাধারণ মানুষকে জানাতে অবিলম্বে বোর্ড লাগাতে হবে এবং পুনরায় সঠিক সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণ করতে হবে।

Advertisement

আপাতত গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নির্মাণের কাজ। যদিও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মণ্ডল। তিনি জানান, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছিল। পাশপাশি, গ্রামবাসীদের দাবিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাবলু ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের তরফ থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। গ্রামবাসীদের দাবি মানা হবে। কাজটি যাতে সঠিক ভাবে হয় সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement