ধৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। — নিজস্ব চিত্র।
এক জন পাশ করেছিলেন এম টেক। অন্য জন, পড়াশোনা করেছিলেন কোম্পানি সেক্রেটারি হওয়ার লক্ষ্যে। দু’জনেই ছিলেন মেধাবী ছাত্র। পাশাপাশি, ধৃতেরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানও। হাওড়ায় জঙ্গি সন্দেহে ধৃত দুই যুবককে নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃতদের শনিবার হাজির করানো হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক ধৃতদের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ সাদ্দাম এবং সৈয়দ আহমেদ নামে হাওড়ার দুই যুবককে। এর মধ্যে সাদ্দাম হাওড়া থানার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা। আহমেদ থাকতেন শিবপুর থানার গোলাম হোসেন সর্দার লেনে। দু’জনেরই বয়স বছর তিরিশের মধ্যে। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম এমটেক পাশ করেছিলেন। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। অন্য দিকে, আহমেদ পড়াশোনা করেছিলেন কোম্পানি সেক্রেটারি নিয়ে। তাঁর বাবার রয়েছে নির্মাণের ব্যবসা। বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করতেন তিনি। এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সাদ্দাম এবং আহমেদ দু’জনেই বন্ধু। দু’জনের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল দু’জনের।
সৈয়দের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ৭-৮ জন পুলিশকর্মী গিয়েছিলেন তাঁদের বাড়িতে। সৈয়দের দাদা রইস আহমেদ জানিয়েছেন, পুলিশকর্মীদের মুখেই তাঁরা জানতে পারেন ভাইয়ের গ্রেফতার হওয়ার খবর। তাঁর দাবি, ভাল ছেলে বলে এলাকায় সুনাম রয়েছে সৈয়দের। রইসের দাবি যে, তাঁর ভাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতেই পারে না। দু’জনরে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম এবং সৈয়দের কম্পিউটারের সিপিইউ, মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।