ধৃত বিপদ ঘোষ ওরফে কানা দীপক। নিজস্ব চিত্র
বকেয়া টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে এনে হুগলির ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিলেন নদিয়ার মায়াপুরের কয়েক জন দুষ্কৃতী। দাবি করা হয়েছিল মুক্তিপণেরও। তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান। রবিবার রাতে নদিয়ার ধুবুলিয়া থেকে ওই কাণ্ডে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে ওই কাণ্ডের মূলচক্রী এখনও অধরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার ধুবুলিয়ার টিবি হাসপাতাল মোড় থেকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বিপদ ঘোষ ওরফে কানা দীপক নামে এক দুষ্কৃতীকে। দীপক অপহরণ-কাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ।
হুগলির ব্যান্ডেলের নলডাঙা এলাকার ছাপাখানা ব্যবসায়ী মিঠুন কুণ্ডুর দাবি, নদিয়ার মায়াপুরের বাসিন্দা মুকুন্দ দাসের থেকে ধূপের বাক্স ছাপানো বাবদ এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পেতেন তিনি। তাঁর দাবি, গত ৪ বছর ধরে ওই টাকা বাকি রেখেছেন মুকুন্দ। তাঁর আরও দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ তাঁকে ফোন করে মায়াপুর থেকে টাকা নিয়ে যেতে বলেন মুকুন্দ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে দু’জন কর্মচারী সুমন দাস এবং সোমনাথ মণ্ডলকে নিয়ে গাড়িতে চড়ে বকেয়া টাকা আনতে মায়াপুরে যান মিঠুন। এর পর মুকুন্দ তাঁর গাড়িতে উঠে পিস্তল দেখিয়ে অপহরণ করেন বলে অভিযোগ। এর পর মিঠুনের বাড়িতে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চান তিনি। বিষয়টি নিয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করে ব্যবসায়ীর পরিবার। পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। ওই সময় দু’জন ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হয়। রবিবার আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও মূল অভিযুক্ত মুকুন্দ এখনও ফেরার।