উদ্ধার হওয়া কালাচ সাপ। —নিজস্ব চিত্র।
চন্দননগরের মহকুমাশাসকের দফতর (এসডিও অফিস) থেকে উদ্ধার হল দু’টি বিষধর কালাচ সাপ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
চন্দননগর রানিঘাটের উল্টো দিকেই মহকুমাশাসকের দফতর। স্থানীয়দের দাবি, গঙ্গা থেকে উঠে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছিল ওই দুই বিষধর সাপ। শনিবার সকালে মহকুমাশাসকের দফতরের সিঁড়িতে ফেলে দেওয়া কাগজ ও আরও নানা অপ্রয়োজনীয় জিনিসের স্তূপের ভিতর একটি টিনের বাক্স থেকে সাপ দু’টিকে উদ্ধার করা হয়।
সাপের উপস্থিতি টের পেয়ে দিন দুয়েক আগেই ব্যান্ডেলের পেশাদার সাপ-উদ্ধারকারী চন্দন ক্লেমেন্ট সিংহকে খবর দেওয়া হয়। সেই মতো এলাকায় পৌঁছে প্রথমে একটি চিতি বোরা সাপ উদ্ধার করেন চন্দন। তখনই কর্মীরা জানান, ওখানেই আরও সাপ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর শনিবার ওই জায়গা থেকে দু’টি কালাচ সাপ উদ্ধার করেছেন চন্দন।
কালাচ সাপ সাধারণত জলের আশপাশে থাকে। গঙ্গা তীরের ওই অফিসে বেশ কিছু দিন ধরেই সাপ দু’টি বাসা বেঁধেছিল বলে অনুমান কর্মীদের। অফিসে এমন বিষধর সাপ দেখতে পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মীরা। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। সাপ উদ্ধারকারী চন্দন বলেন, ‘‘এশিয়ার অন্যতম বিষধর সাপ কালাচ। এই সাপ কামড়ালে অনেক সময় বোঝা যায় না। তবে বিষের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অফিসের পাশেই রয়েছে গঙ্গা, সম্ভবত সেখান থেকেই উঠে এসেছিল সাপ দু’টি। তবে দু’টি সাপকেই উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের স্বাভাবিক বাসস্থানে ছেড়ে দেওয়া হবে।’’