রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ। তার জেরে বাধা পেয়ে ফিরতে হল এলাকার প্রাক্তন বিধায়ককে। শনিবার ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। যা এক সময় রাজীবেরই ‘গড়’ বলে পরিচিত ছিল। যদিও ওই বিক্ষোভের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।
শুক্রবার রাতে প্রয়াত হন হাওড়ার সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বারের প্রাক্তন প্রধান সুধীরচন্দ্র ঘোষ। তিনি ডোমজুড়ের তৃণমূল সভাপতিও ছিলেন। সেই খবর পেয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে রওনা দেন রাজীব। কিন্তু ওই এলাকায় পৌঁছতেই রাজীবকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দূর হঠো’ বলে স্লোগান দেন। এমনকি ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে তাঁরা ‘মিরজাফর’ বলেও আখ্যা দেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এমন ঘোরালো হয়ে ওঠে যে, প্রয়াত উপপ্রধানের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই রাজীব ফিরতে বাধ্য হন।
প্রয়াত সুধীরচন্দ্রের ভাইপো গোপাল ঘোষ এ নিয়ে বলেন, ‘‘এটা খুব খারাপ কাজ হয়েছে। এক জন মারা গিয়েছেন অথচ সেখানেও রাজনীতি হচ্ছে। কল্যাণ ঘোষের অনুগামীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।’’ অভিযোগ উড়িয়ে ডোমজুড়ের বিধায়ক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘তৃণমূলের বিক্ষোভ দেখানোর কোনও কর্মসূচিই নেই। নির্বাচনের সময় উনি যে ব্যবহার করেছেন এটা তার প্রতিক্রিয়া হতে পারে। গ্রামবাসীরাও করে থাকতে পারেন। আমি অন্যায় করলেও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। হাওড়ায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই নেই।’’
গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন রাজীব। তিনি ডোমজুড়ে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন। তবে তৃণমূলের কল্যাণের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন তিনি। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজীব ফিরে আসেন তৃণমূলে। যদিও রাজীবের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ক্ষোভের আবহ তৈরি হয়েছে ডোমজুড়ে, তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে।