Co-operative Bank Election

শেওড়াফুলি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে বিপুল জয় তৃণমূলের, খাতাই খুলল না বিজেপির

তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৪‌২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আটটি আসন জিতেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। দু’টি আসনে জয়ী হয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী দিলেও একটি আসনও জোটেনি তাদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৩০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

শেওড়াফুলি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ৪২-২ ব্যবধানে বিপুল জয় তৃণমূলের। উড়ল সবুজ আবির। দু’টি আসনে জিতল বাম-কংগ্রেস জোটও। খাতা খুলতে পারল না বিজেপি!

Advertisement

প্রায় তিন দশক পর রবিবার বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচন ছিল। সেই মতো সকাল ১০টা থেকে বৈদ্যবাটি শেওড়াফুলি এবং ভদ্রেশ্বরের ন’টি স্কুলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট দেন ব্যাঙ্কের প্রায় ১৩ হাজার সদস্য। সকাল থেকেই এলাকায় ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। মোট ১৮টি কেন্দ্রে ৪৪টি আসনের জন্য ৯১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভোটপর্ব শেষ হয় বেলা ৩টে নাগাদ। ফল বেরোতেই দেখা যায়, তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ৪‌২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আটটি আসন জিতেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। দু’টি আসনে জয়ী হয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্য দিকে, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি প্রার্থী দিলেও একটি আসনও জোটেনি তাদের। ফল ঘোষণার পরেই বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা।

Advertisement

রবিবার সকাল থেকেই ভোটকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মাঝেই আবার অভিযোগ ওঠে, ভোট গ্রহণ শুরু হতেই সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেসের জোটের প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সমর্থকদেরও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই শেওড়াফুলি ফাঁড়ির মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, তৃণমূল সমর্থকেরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকে ভোট লুট করেছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এই ফল মানুষের স্বেচ্ছায় মত প্রকাশের ফল নয় বলেও দাবি করেন তাঁরা।

যদিও হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুইন জানাচ্ছেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘‘সমবায় ব্যাঙ্কের সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আস্থা রেখেছেন। মানুষ বুঝে গিয়েছে কেন্দ্রে যে সরকার আছে, সেই সরকার মানুষকে কথা দিয়ে কথা রাখে না। বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখে। তাই বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement