ফাইল চিত্র।
আবাস প্লাসের নামের তালিকা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এ বার ওই তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্লক প্রশাসনকে দুষল আমতা-২ ব্লকের তৃণমূল শাসিত ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েত।
পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের অভিযোগ, চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সময়ে প্রায় ২০০ জন গরিব মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এর পিছনে বিডিও অফিসের কর্মীদের হাত আছে বলে অভিযোগ তাঁদের। অনেক গৃহহীনের নাম তালিকায় নেই, তা স্বীকার করে বিডিও সৈয়দ মাসিদুর রহমান বলেন, ‘‘অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন নয়। সমীক্ষার কাজটি করেছেন মূলত আশা কর্মীরা। কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের ভুল হতে পারে। ফের সমীক্ষা করানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।’’
ওই পঞ্চায়েতের ২০১৮ সালের আবাস প্লাসের তালিকায় নাম ছিল ১৮৮৫ জনের। সমীক্ষার শেষে যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে নাম আছে ৯২৭ জনের। এই তালিকা প্রকাশের পরেই ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন পঞ্চায়েতের কর্তারা। তাঁদের অভিযোগ, ঘরে বসে সমীক্ষা করা হয়েছে। অন্তত এমন ২০০ জনের নাম বাদ পড়েছে যাঁদের বাড়িই নেই। তাছাড়া, প্রধানকে ভুল বুঝিয়ে গ্রামসভার বৈঠকে চূড়ান্ত তালিকার প্রস্তাবটি অনুমোদন করানো হয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।
প্রধান সাবিনা মল্লিকের দাবি, ‘‘বিডিও অফিসের কর্মীরা আমাদের একদিন বললেন গ্রাম সভার বৈঠক ডাকতে। সেই বৈঠকে কী আলোচনা হবে, সেটা আমাদের জানানো হয়নি। রেজ়োলিউশনের খাতায় আমাদের
সই করিয়ে নেওয়া হয়। তারপরে বৈঠকের ছবি তুলে নিয়ে তাঁরা চলে যান। পরে জানতে পারি সেই বৈঠকে আবাস প্লাসের চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করানো হয়েছে। তারপরই আমরা বিডিও অফিসে গিয়ে ওই খাতা নিয়ে চলে আসি। এই তালিকা আমরা মানি না।’’ যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লিখিত দাবি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে নির্বাচিত তৃণমূল শাসিত আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা সমিতির সহ সভাপতি দেলওয়ার হোসেন মিদ্দার ক্ষোভ, ‘‘যাঁদের পাকা বাড়ি আছে তাঁদের নাম বাদ যাক—সেটা আমরাও বলছি। তা বলে প্রকৃত গৃহহীনদের নাম বাদ পড়বে কেন? সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। যাঁরা বাড়ির টাকা পেলেন না তাঁদের কাছে কী জবাব দেব আমরা?’’