প্রতীকী ছবি।
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে হাওড়ায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে ঐক্যের ছবি তুলে ধরা হল। দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে টানাপড়েন থাকলেও রবিবার সব নেতা একসঙ্গে উপস্থিত থেকে এই ঐক্যের ছবি তুলে ধরলেন। জেলা নেতৃত্বের মুখে শোনা গেল,দলে পুরাতন আর নব্যের মধ্যে বিভেদ ভুলে কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান।
সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ও হাওড়া পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা নিয়েও জেলার নেতারা জানিয়ে দিলেন, রাজ্য নেতৃত্ব যাঁদের নাম প্রার্থী হিসাবে চূড়ান্ত করবেন, তাঁরাই পঞ্চায়েত বা পুরভোটে প্রার্থী হবেন। প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে জেলায় বসে ভাবার কিছু নেই।
এ দিন ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হাওড়া সদর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেবিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে জেলা তৃণমূল সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ, প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার সাংসদপ্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি-সহ জেলা নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। জেলা নেতৃত্ব থেকে মন্ত্রী ও সাংসদ, সকলেইপঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান এ দিনের অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের হাওড়া সদরের প্রাক্তন সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘দলে নতুনদের সঙ্গে পুরনোদেরও সম্মান দিতে হবে। ১৯৯৮ সাল থেকে দলটা যাঁরাকরেছেন, তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে দলে রাখতে হবে। আবার বর্তমানে বহু নতুন কর্মী আসছেন,তাঁদেরকেও সাদরে গ্রহণ করতে হবে।’’
দলীয় কর্মীদের একই বার্তা দেন তৃণমূলের হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন কিছু ভুল করব না, যাতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃখ পান। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’’ শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি কর্মীদের বলেন, ‘‘আমরা কোনও বিভেদ করব না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা। দলের প্রবীণেরা যা নির্দেশ দেবেন, আমরা নতুনরা তা পালন করব।’’
কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়ে দলের জেলা সদরসভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’’ তাঁর কথায়, দল ক্ষমতায় থাকলে তবেই প্রশাসন চালাতে পারবে। আর দলকে ক্ষমতায়রাখতে গেলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পুরনো-নতুন দ্বন্দ্ব ভুলতে হবে।
একই সঙ্গে কল্যাণ বলেন,‘‘পুরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হতে চাইবেন, তাঁরা জেলা নেতৃত্বের কাছে নাম দেবেন। জেলা নেতৃত্ব নামের তালিকারাজ্য নেতৃত্বকে পাঠাবেন। নামের তালিকা চূড়ান্ত করবেন তাঁরাই।’’