রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভোটের প্রচারে এসে তিনি বলেছিলেন, ‘‘জিতলে আপনাদের পাশে থাকব।’’ লোকসভা ভোটে জয়ের পর শুক্রবার পাণ্ডুয়ায় আদিবাসীদের এক অনুষ্ঠানে এসে হুগলির নবনির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন মাসে এক দিন করে তিনি হুগলিতে আসবেনই। এলাকার মানুষের কথা যাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে যায়, দায়িত্ব নিয়ে সেটা দেখবেন।
’২৪-এর লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্র থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ভোটে জিতেছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে অভিনেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, তারকা সাংসদেরা কেমন কাজ করেন, সেটা এ বার মানুষকে দেখিয়ে দেবেন। শুক্রবার পাণ্ডুয়ার দমদমা ফুটবল মাঠে আদিবাসী সংগ্রামীদের মূর্তি উদ্বোধন করতে এসে রচনা জানান, নির্বাচনের আগে হুগলিতে বিরোধীরা প্রচার করেছিল যে তিনি ভোটে জিতলেও তাঁকে এলাকাবাসী কাছে পাবেন না। তিনি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবেন। কিন্তু সেই ‘কুৎসা’ তিনি মিথ্যা বলে প্রমাণ করবেন।
গোপালনগর সিধো-কানহো জাহের থান খেরওয়াল গাঁওতার পরিচালনায় ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের সহযোগিতায় দমদমা ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় সাঁওতাল বিদ্রোহের আট বীর শহিদের পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচন করেন রচনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র-সহ পাণ্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা। ফুলের তোড়া দিয়ে রচনাকে বরণ করে নেন রামেশ্বরপুর গোপালনগর এবং বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই প্রধান। তার পরে তিনি মূর্তির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রচনা বলেন, ‘‘মাসে অন্তত এক দিন আপনারা আমাকে পাবেন। যদি আপনারা মনে করেন যে আপনাদের কাজ হচ্ছে না, ঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারছেন না কিংবা, আপনাদের কথা কেউ শুনছেন না, আপনারা আমার জন্য অপেক্ষা করবেন। আমি যে দিন আসব, সে দিন আমার কাছে আসবেন। আমি আপনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলব এবং প্রত্যেকের সুবিধা-অসুবিধা দেখব। কথা দিয়ে গেলাম।’’