মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় কান ধরে ওঠবোস করাচ্ছেন বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র।
সকলের সামনে এক যুবককে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার— সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি ভিডিয়োর (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) জেরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিধায়কের আচরণের নিন্দা করছেন অনেকেই। বিরোধীরা সরব হয়েছেন। ভিডিয়োয় ওই যুবককে দেখা যায়, কারও কথা শুনে বিধায়কের পা ধরে ক্ষমা চাইছেন।
ঘটনার কথা অস্বীকার করেননি অসিত। নিজের দোষও খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। বিধায়কের দাবি, ‘‘ওই যুবক এক সরকারি কর্মীকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গালিগালাজ করছিলেন। এটা অন্যায়। উনি (সরকারি কর্মী) কোনও অন্যায় করে থাকলে পুলিশে খবর দিতে পারতেন! যা করেছি ঠিক করেছি। কান ধরে ওঠবস করিয়েছি। আমার সামনে কেউ অন্যায় করলে এটাই করব।’’
তবে বিধায়ক কেন আইন হাতে তুলে নেবেন, এই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি শিবির। দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘অবাক ব্যাপার! বিধায়ক নিজেই বলেন, কেউঅন্যায় করলে পুলিশে খবর দিন। আইন হাতে নেবেন না। অথচ, নিজেই আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন। প্রকাশ্যে মানুষকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন! কোন সমাজ তৈরি করতে চাইছে শাসক দল!’’
ঠিক কি ঘটেছিল?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ব্যান্ডেলের নিউ কাজিডাঙার বাসিন্দা, পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের কর্মী শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিকেলে মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নিউ কাজিডাঙার কাছে তাঁর পথ আটকায় তিন যুবক। শুভজিৎ অভিযোগ তোলেন, ওই যুবকেরা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে দাঁড় করিয়েছিল। সে সময়ে ওই পথ ধরে যাচ্ছিলেন বিধায়ক অসিত। জটলা দেখে তিনি গাড়ি থেকে নেমেপড়েন। বিধায়ককে দেখে এলাকা ছাড়েন দুই যুবক। তৃতীয় জনকেকান ধরে ওঠবস করান বিধায়ক। যুবককে পরে আটক করে পুলিশ। রাতে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।