TMC

TMC-BJP: বলাগড়ে উলটপুরাণ, দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে সরাতে বিজেপি-র হাত ধরল তৃণমূলের ৫ সদস্য

মঙ্গলবার ভোটাভুটি প্রস্তাব ঘিরে উত্তপ্ত ছিল চন্দ্রহাটি এলাকা। মিঠু এবং শক্তিপদর গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘাত বাধারও উপক্রম হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৫
Share:

দলের প্রধানকে সরাতে অনাস্থা তৃণমূলেরই। নিজস্ব চিত্র

নিজের দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে সরাতে বিজেপি-র হাত ধরলেন তৃণমূলের পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য। এমনই উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে হুগলির বলাগড়ের চন্দ্রহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপি-র সাহায্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে ওই পঞ্চায়েতের প্রধানকে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের বিদ্রোহীরা।
বলাগড়ের চন্দ্রহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫ জন সদস্য। এর মধ্যে ৯ জন তৃণমূলের এবং ৬ জন বিজেপি-র। বলাগড়ের তৃণমূল শিবিরের একাংশের বক্তব্য, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মিঠু দাস এবং উপপ্রধান শক্তিপদ দাসের মধ্যে লাগাতার সঙ্ঘাত চলছিল। পঞ্চায়েতের প্রধান কোনও কাজ করেন না এই অভিযোগ এনে অনাস্থা আনেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। তাতে সহমত হন বিজেপি-র সদস্যরাও। মিঠুর অভিযোগ, অনাস্থা আনার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার রাতে ভয় দেখাতে তাঁর বাড়িতে বোমা ছোড়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘গত কাল রাত ২টো নাগাদ একটা বোমা ফাটল। বিকট শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। তালা খুলে দেখি দরজা, জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা হয়েছে তার জন্য আমার দরজায় অনাস্থার চিঠি সেঁটে দিয়ে যাওয়া হত। আমার মনে হচ্ছে, যারা আমার বাড়িতে অনাস্থার চিঠি লাগিয়ে দিত তারাই বোমা ছুড়েছে। আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।’’

Advertisement

অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ভোটাভুটি ঘিরে উত্তপ্ত ছিল চন্দ্রহাটি এলাকা। মিঠু এবং শক্তিপদর গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘাত বাধারও উপক্রম হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষ পর্যন্ত অনাস্থা ভোটে পরাজিত হন মিঠু। পাঁচ জন তৃণমূল এবং বিজেপি-র চার পঞ্চায়েত সদস্য মিঠুর বিরুদ্ধে ভোট দেন। ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেন ১২ জন সদস্য। নয় জন অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন। তিন জন ছিলেন বিপক্ষে।

বিষয়টি মেনে নিয়ে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বক্তব্য, ‘‘দলের নির্দেশ সত্ত্বেও যাঁরা অনাস্থা এনেছেন দল তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভাল নয়। দু’পক্ষ বিষয়টি মেটাতে চাইছেন না। আমি বিধায়ক হিসাবে পারিনি। এটা স্বীকার করতেই হবে।’’ আর তৃণমূলের সঙ্গে হাতমেলানো নিয়ে বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের যুক্তি, ‘‘স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গঠনের জন্য বিজেপি-র সদস্যরা অনাস্থাকে সমর্থন করেছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement