শ্রীপুর বলাগড় পঞ্চায়েতের ১২৪ নম্বর বুথের তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সুরুই টুডু l এই বুথেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি l —নিজস্ব চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ইডির গ্রেফতার তালিকায় রয়েছে বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ। সারা রাজ্যের মতোই চলতি বছরের বলাগড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মূল অস্ত্র ছিল ‘দুর্নীতি’। কিন্তু বিরোধীদের উড়িয়ে এ বার বলাগড়ের ১৩টি পঞ্চায়েতেই ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল।
শান্তনুর বাড়ি বলাগড়ের বারুইপাড়ায়। কুন্তল থাকতেন পাশের গ্রামে। দু’জনেই ছিলেন শ্রীপুর-বলাগড় পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। ২০১৮ সালে ওই পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল। এ বার আসন বেড়ে হয়েছে ২৫। তৃণমূল জয় পেয়েছে ১৬টিতে, বিজেপি জিতেছে পাঁচটি আসনে। ২টি আসনে নির্দল প্রার্থী জিতেছেন, বামেরা পেয়েছে ২টি আসন।
শান্তনুর এলাকার ১২৪ নম্বর বুথে ১০৯ ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের সুরুই টুডু। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই বুথে বিরোধী দলের প্রার্থী ছিল না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন শান্তনুর ভাতৃবধূ সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বছর অবশ্য সুরুইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি ও সিপিএম। সুরুই বলেন, ‘‘ইডি-সিবিআই করে লাভ নেই। শান্তনুদা এলাকার মানুষের কাছে আজও ঘরের ছেলে। তাই এলাকাবাসী তৃণমূলকে জিতিয়েছেন।’’
আর ওই বুথের বিজেপি প্রার্থী সঙ্গীতা মুর্মু বলেন, ‘‘এ বছর ভোটে কোনও অশান্তি হয়নি। মানুষ তাঁদের পছন্দের মানুষকে বেছে নিয়েছেন।’’ সিপিএম প্রার্থী কাকলি হাঁসদাও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ চাননি, তাই আমরা হেরেছি।’’