উদয়নারায়ণপুরে তৃণমূলের বাড়ি বাড়ি প্রচার। — নিজস্ব চিত্র।
ওঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন। কিন্তু রেহাই নেই। ভোটের প্রচারে নামতে হচ্ছে সকাল-সন্ধে।
আমতা ১ ব্লকের চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের সব ক’টিতেই জিতেছে তৃণমূল। এ ছাড়াও, জেলার আরও বহু পঞ্চায়েতেও একই ফল হয়েছে। জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচার তো করছেনই, তার ছবি দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও নিয়মিত পাঠাতে হচ্ছে।
কেন এই ব্যবস্থা?
গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ, তিনটি স্তরের প্রার্থীদেরই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অন্তত তিনবার করে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদেরও ছাড় নেই। প্রচারে একটুও ঢিলেমি গ্রাহ্য করা হবে না। মানুষজনের সঙ্গে পরিচয় করতে হবে। আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগা চলবে না।’’
গ্রামীণ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ এই নির্দেশের পিছনে আরও একটি কারণকেও চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা জানান, বহু গ্রাম পঞ্চায়েত আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতলেও জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বিশেষ করে জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই বিজেপি এবং বামেরা প্রাথী দিয়েছে। ৪৭০টি পঞ্চায়েত সমিতির বেশিরভাগ আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। প্রচারে ঢিলে দিলে ওই দুই স্তরের যে সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে,সেখানে দল পিছিয়ে পড়তে পারে। বিরোধীরা সুযোগ নিতে পারে। চন্দ্রপুরেও তাই শুধুমাত্র জেলা পরিষদ আসনে ভোটের জন্যেও প্রচারে নেমেছেন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীরা।
উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬টির মধ্যে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত চলে এসেছে শাসক দলের হাতে। পঞ্চায়েত সমিতিও তাদের দখলে চলে এসেছে। কিন্তু জেলা পরিষদের চারটি আসনের সব ক’টিতেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এখানেও জয়ী প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। বিধায়ক তথা গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘আমরা তিনটি স্তরেই আমাদের দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি।’’
বাগনান বিধানসভা এলাকা থেকে জেলা পরিষদ প্রাথী হয়েছেন মানস বসু। তিনি বলেন, "আমার এলাকায় কয়েকটি বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের প্রার্থী জিতেছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই আমি বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি।’’