হাওড়া পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
বাঁকড়ার মণ্ডলপাড়ার মতো লিলুয়ার মিরপাড়ার জলার মাঠেও বেআইনি ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছিল তিন বিঘা সরকারি জমি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের জেরে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করায় অবশেষে দখলদারমুক্ত হল সেই জমি। সরকারি জমি জবরদখল ও বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে সোমবারই প্রশাসনের একাংশ ও দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘরে পুরপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে এ দিন লিলুয়ার এই ঘটনা কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতাকেই প্রমাণ করে দিয়েছে। রবিবারই বাঁকড়ার মণ্ডলপাড়ায় সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করা নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে গত দু’-তিন দিন ধরেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করছিলেন লিলুয়ার মিরপাড়ার জলার মাঠ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে ভূমি রাজস্ব দফতর জলার মাঠের একাংশে তিন বিঘা নিচু শালি জমি ভরাট করার অনুমতি দিয়েছিল। আরও অভিযোগ, ওই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল, সরকারি ওই জমি বুজিয়ে বিক্রি করে দেওয়া। যার প্রতিবাদে এ দিন একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন ভূমি দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে লিলুয়া থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভের জেরে ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মীরা শেষমেশ জমিটি মাপজোক করে ঘিরে দেন। কেউ যাতে ওই জমি দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সেখানে সরকারি জমি বলে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে হাওড়ায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কৈলাস মিশ্রের দাবি, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের কাছে সরকারি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আমরা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের পাশাপাশি জেলাশাসক এবং নগরপালের কাছেও অভিযোগ জানাই। তার পরেই এই সরকারি জমির দখলদারি রুখতে প্রশাসন তৎপর হয়। কোথাও এ ভাবে সরকারি জমি দখল হলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানান। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে ওই বেআইনি কাজ রুখব।’’