নিজস্ব চিত্র
হুগলির হিন্দমোটরে বি়ড়লাদের হাতে থানা জমিতে আবার নতুন করে গড়ে উঠবে বৈদ্যুতিক বাড়ি ও বাইকের কারখানা। সম্প্রতি ইউরোপের এক গাড়ি সংস্থার সঙ্গে হিন্দুস্তান মোটরের সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই খবর হিন্দমোটর এলাকায় চাউর হতেই নতুন করে আশার আলো দেখছেন শ্রমিকেরা।
২০১৪ সালে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলানো হয়েছিল হিন্দুস্তান মোটর কারখানায়। তার পর থেকে গত আট বছরে বহু শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। বেতন বন্ধ হওয়ায় অনেকে বিকল্প রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন। তবে এখনও সাড়ে তিনশো শ্রমিক কাজ করেন ওই কারখানায়। অতীতে একাধিক বার কারখানা খোলার দাবিতে আন্দোলন হয়েছে হিন্দমোটরে। কিন্তু বিড়লাদের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। উল্টে বেঙ্গল শ্রীরামকে প্রায় সাড়ে তিনশো একর জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পরে হিরানন্দানি গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে একশো একর। বর্তমানে ২৭৫ একর জমি রয়েছে বিড়লাদের হাতে। তার মধ্যে ৯৬ একরে নতুন কারখানা গড়ে উঠতে পারে বলেই খবর।
হিন্দুস্তান মোটরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি। তাদের তরফে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। সিটু নেতা মণীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এর আগেও এমন হাওয়া উঠেছিল। হিন্দুস্থান মোটরের শেয়ার চাঙ্গা রাখতে এই ধরনের খবর রটানো হয়। তবে সত্যি যদি কারখানা খোলা হয়, তা হলে সাহায্য করা হবে।’’
পাশাপাশিই, চুক্তির খবর নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। কারণ, কোম্পানি কী ধরনের গাড়ি তৈরি করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া, যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে অ্যাম্বাসেডরের শ্রমিকদের কতটা কাজে লাগানো হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে। তবে নতুন কারখানা গড়ে উঠলে হিন্দমোটর আবার প্রাণ ফিরে পাবে বলেই মনে করছেন শ্রমিকদের একাংশ।