বলাগড়ের চর খয়রামারি প্রাথমিক স্কুলের পুরনো ভবন (বাঁ দিকে), নতুন ভবন (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
হাই কোর্টের নির্দেশে নতুন ভবন তৈরি হলেও, দিন কয়েকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হুগলির বলাগড়ের চর খয়রামারির সেই প্রাথমিক স্কুলের রাস্তা। এর আগে গঙ্গার ভাঙনের কবলে পড়ে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল চর খয়রামারি প্রাথমিক স্কুলটির। এর পর ওই স্কুলটি সরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
হাই কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছে চর খয়রামারি প্রাথমিক স্কুলের নতুন ভবন। গত সপ্তাহে নতুন ভবনে শুরু হয়েছে সেই স্কুলটি। কিন্তু দিন কয়েকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন ওই স্কুলে যাওয়ার রাস্তা। স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের বক্তব্য, জল ঢুকেছিল রান্নাঘরেও। যদিও পরে তা নেমে গিয়েছে। কিন্তু রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় সেখানে সাপখোপের উপদ্রব স্কুলে বেড়েছে বলে তাঁদের বক্তব্য। সাপের উৎপাতে অনেক পড়ুয়া স্কুলে আসতে রাজি নয় বলেও তাঁদের দাবি। জীবন মল্লিক নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য, ‘‘স্কুলের নতুন ভবন তৈরির সময় রাস্তাটা ভাল করে করা উচিত ছিল। তবে এখানে রাস্তা করার জায়গাও পাওয়া যাচ্ছে না।’’
বলাগড়ের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক নীলাদ্রি সরকার স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের সামনের রাস্তায় জল জমার কথা। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে জল জমেছে। এ কথা শিক্ষকরা জানিয়েছেন। স্কুলে ঢোকার একটি রাস্তা করার কথা আছে। পাইলিং করে করতে হবে। কিন্তু এখন বর্ষাকাল। তাই করা যাচ্ছে না। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। সাপের উপদ্রব হতে পারে, এ কথা ভেবে শিক্ষকদের বলেছি ব্যবস্থা নিতে।’’ বর্ষার সময় স্কুলের সামনে জল জমে থাকলে সমস্যা হতে পারে। এ কথা মেনে নিয়েছেন বলাগড়ের এসআই গৌরব চক্রবর্তীও।
চর খয়রামারির ওই প্রাথমিক স্কুলটি ছিল গঙ্গার ধারে। তা যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বলাগড়ের সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যত দ্রুত সম্ভব নতুন ভবন তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। সেই মোতাবেক তৈরি হয় নতুন ভবন।