লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। — ফাইল চিত্র।
শাসক এবং বিরোধী দুই শিবিরের সাংসদদের আচরণেই ‘গভীর ভাবে মর্মাহত’ তিনি। তাই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আপাতত অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন। সূত্রের খবর বুধবার ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেন, ‘‘যত দিন না সাংসদেরা তাঁদের মর্যাদা এবং সভার গরিমা বজায় রাখার মতো আচরণ না-করছেন, তত দিন অধিবেশনে যোগ দেব না।’’
ঘটনাচক্রে, বুধবার বাদল অধিবেশনে যোগ দেননি ওম। যদিও তাঁর অনুপস্থিতে লোকসভায় মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে হট্টগোল চালিয়ে যান ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদের। ‘জবাব’ আসে শাসক শিবিরের তরফেও। দু’শিবিরে স্লোগান, বচসার মধ্যেই দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। ওমের এই ‘লোকসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত’ প্রকাশ্যে আসার পরেই বুধবার শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা— তবে কি আগামী ৮-১০ অগস্ট নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কপর্ব পরিচালনা করবেন স্পিকার?
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর পর থেকেই মণিপুরকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে দফায় দফায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। স্পিকারের বার বার আবেদন সত্ত্বেও সভায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরেনি। ওমের অনুপস্থিতিতে বুধবার লোকসভার অধিবেশন পরিচালনা করেন বিজেপি সাংসদ কিরীট সোলাঙ্কি।
সংসদ মুলতুবি হওয়ায় দিল্লির আমলাদের রাশ হাতের রাখার বিতর্কিত বিল নিয়ে লোকসভায় বিতর্ক এবং ভোটাভুটি হয়নি বৃহস্পতিবার। আড়াই মাস আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখার জন্য যে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারি করেছিল, এ বার সংসদের বাদল অধিবেশনে তা পাশ করিয়ে পুরোদস্তুর আইনের চেহারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করেন লোকসভায়।