বাগনানের রেল উড়ালপুল লাগানো হচ্ছে সিসিক্যামেরা। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং ফ্লেক্সে মুড়ে ফেলা হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার বহু এলাকা। আজ, শনিবার দুপুর থেকে এখানে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নব জোয়ার’। রয়েছে পদযাত্রা। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে গত কয়েক দিন ধরেই পুলিশের তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। নির্দিষ্ট রাস্তাগুলিতে বসানো হয়েছে প্রচুর সিসিক্যামেরা। ওই সময়ে রাস্তায় যাতে গরু, কুকুর বা ছাগল চলে না আসে, সে ব্যাপারে শুক্রবার জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনগুলির কাছে আবেদন করা হয়েছে।
কর্মসূচি শুরু বেলা দুটো নাগাদ। প্রথমে বাগনান লাইব্রেরি মোড় থেকে খালোড় কালীবাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন অভিষেক। কালীবাড়িতে তিনি পুজো দেবেন। কালীবাড়ি যেতে হলে বাগনান রেল উড়ালপুল পার হতে হবে তাঁকে। শুক্রবার দফায় দফায় গ্রামীণ জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা ওই উড়ালপুল পরিদর্শন করেন। উড়ালপুল-সহ বাগনান লাইব্রেরি মোড় থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার প্রায় দু’কিলোমিটার অংশে ৫৫টি সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে। একই ভাবে আরও যে দুই জায়গায় অভিষেক পদযাত্রা করবেন, সেই ৫৮ গেট এবং খলিসানিতেও সিসিক্যামেরা বসছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনটি পদযাত্রা ছাড়া শ্যামপুরের বেলপুকুর কলেজ মাঠে অভিষেকের জনসভা হওয়ার কথা। পাঁচলা মোড়ের একটি ক্লাবের মাঠে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটাভুটি হবে।
পুলিশ এবং তৃণমূল নেতারা যতই আশ্বাস দিন, এই কর্মসূচির জন্য যান চলাচলে সমস্যার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বহু মানুষ। কর্মসূচি শুরুর আগে থেকেই বাগনান-শ্যামপুর এবং উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোড স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, "যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হবে। তবে যদি কোথাও ব্যাহত হয়, তা সাময়িক হবে।’’
শুক্রবার বিকেলে উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় এবং বিধায়ক অরুণাভ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনার তদারকি করতে বিভিন্ন এলাকায় যান। পুলক বলেন, ‘‘আমাদের নেতার আগমন উপলক্ষে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তাঁদের কাছে আবেদন করা হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত না করে সুশৃঙ্খল ভাবে এই কর্মসূচি সফল করতে।’’