school

Jirat: মেয়েরা ফের পড়বে জিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ে

জিরাট স্টেশনের কাছেই ১৯৫৪ সালে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল এক দল উদ্বাস্তু মানুষের হাতে। সেই সময় মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ানো হত।

Advertisement

প্রকাশ পাল

জিরাট শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২২ ০৬:৪১
Share:

স্কুলে ভর্তির লাইন মেয়েদের। নিজস্ব চিত্র।

সাড়ে ছয় দশক পরে ফের মেয়েরা পড়ার সুযোগ পেল জিরাট কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এখন থেকে এই স্কুলে মেয়েরা উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পারবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হয়েছে। ছেলেদের পাশপাশি মেয়েদেরও ভর্তির লাইন পড়ছে। ইতিমধ্যেই অনেক ছাত্রী ভর্তি হয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। কাছের স্কুলে পড়ার সুযোগ মেলায় আশপাশের মেয়েরা খুশি। অভিভাবকরাও।

Advertisement

জিরাট স্টেশনের কাছেই ১৯৫৪ সালে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল এক দল উদ্বাস্তু মানুষের হাতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, সেই সময় মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ানো হত। ছেলেমেয়ে উভয়েই পড়তে পারত। এক শ্রেণির লোক এই স্কুলে তাঁদের মেয়েদের পাঠাতে চাইতেন না। কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে স্মৃতিমন্দির বালিকা বিদ্যলয় তৈরি হয়। তার পরেই জিরাট কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় ‘বয়েজ় স্কুল’ হয়ে যায়। অর্থাৎ মেয়েরা সেখানে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গরিব এবং উদ্বাস্তু ছাত্রীরা এর প্রতিবাদে তখন আন্দোলন করেছিলেন। যার জন্য কয়েক জন ছাত্রীকে জেলে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই ছাত্রীরা ভর্তি হয়েছিলেন বলাগড়ের স্কুলে। তাঁদের মধ্যে আমার নিজের পিসিমাও ছিলেন।’’

ইতিমধ্যে জিরাট কলোনি এবং স্মৃতিমন্দির— দু’টি বিদ্যালয়ই উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। স্মৃতিমন্দির স্কুলে কলা বিভাগে পড়ানো হয়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে বলাগড়ে যেতে হত মেয়েদের। কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে কলার পাশাপাশি বিজ্ঞান শাখাও আছে। বেশ কিছু দিন ধরেই এখানে উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের ভর্তির আবেদন শিক্ষা দফতরে জানানো হচ্ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। পার্থবাবু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার এই অনুমোদন মিলেছে। স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় মেয়েরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়তে পারত। এখন একাদশ-দ্বাদশ পড়তে পারবে। প্রায় ৬৬ বছর পরে মেয়েরা ফের এখানে পড়তে পারবে। খুব ভাল লাগছে।’’

Advertisement

প্রধান শিক্ষক আব্দুল শরীফ শেখ জানান, বুধ এবং বৃহস্পতিবার মিলিয়ে অন্তত ৩৫ জন ছাত্রী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। গত বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল ৬০ জন ছাত্র। এ বার ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে সেই সংখ্যা দেড়শো জন ছাড়িয়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement