Uluberia

বিলি করা হয়নি, ব্রিজ কোর্সের বই জমছে গুদামে

আমতার একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের নেতা পিন্টু পাড়ুইয়ের কটাক্ষ, ‘‘সরকারের উদ্দেশ্য যে কী, সেটাই বুঝতে পারছি না।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১০:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঠনপাঠনের জন্য যে বই প্রাপ্য ছিল পড়ুয়াদের, সেগুলি তারা পায়নি। তাই সেই বইগুলির ঠাঁই হয়েছে গুদামঘরে। এমনই গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে আমতা সিরাজিবাটী চক্রের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এই চক্রের অধীনে প্রায় তিরিশটি প্রাথমিক স্কুল আছে। অনেক প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলের পধান শিক্ষকদের অভিযোগ, সব শ্রেণির পড়ুয়াদের বই বিলি করা হয়নি। প্রথম, তৃতীয় এবং পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের বই দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা।

কেন বাদ পড়ল তারা?

Advertisement

একটি স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে আগে প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের বই দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরে বাকিদের দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্কুল পুরোদমে শুরু হওয়ার পর সেটা আর দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্য একটি স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যাদের বই দেওয়া হয়নি, তাদের অতিরিক্ত সময় দিয়ে পড়িয়ে তৈরি করে নেওয়া হয়েছে।

ফলস্বরূপ বইগুলো নষ্ট হচ্ছে চক্র কার্যালয়ের গুদামে।

আমতার একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা বিজেপি প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের নেতা পিন্টু পাড়ুইয়ের কটাক্ষ, ‘‘সরকারের উদ্দেশ্য যে কী, সেটাই বুঝতে পারছি না। পড়ুয়াদের দেখা না ছাপাখানার স্বার্থ দেখা। বই ছাপা হয়ে গুদামে পড়ে আছে। অথচ সেগুলি বিলিই করা হল না।’’

সিরাজবাটী চক্রের অবর চক্র পরিদর্শক দীপঙ্কর কোলে বলেন, ‘‘বেশিরভাগ পড়ুয়াই ব্রিজ কোর্সের বই পেয়েছে। কিছু বই কম পড়ে গিয়েছিল। সেগুলি যখন আসে তখন স্কুলগুলিতে পুরোদমে পঠনপাঠন চালু হয়ে গিয়েছে। তাই শিক্ষকরা আর বই নিতে আগ্রহ দেখাননি। সেই বইগুলিই পড়ে আছে। পড়ে থাকা বইয়ের সংখ্যা অবশ্য কম।’’

জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘যে বই পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ ছিল, তা তাদের পাওয়া উচিত ছিল। সেটা না হওয়া চরম গাফিলতি ছাড়া আর কিছু নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement