ধনেখালিতে সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে তিন দিনের হুগলি সফরে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার, সফরের শেষ দিন বিকেলে পান্ডুয়ার হরিদাসপুরের একটিলজে দলের যুব মোর্চার নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সুকান্তবলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি বাংলায় লোকসভায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। তার মধ্যে হুগলি প্রথম। সব ক’টি আসনে (তিনটি) জিততে হবে।’’
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। বলেন, ‘‘৫০০ টাকা ঘুষ দিয়ে মহিলাদের কিনে নিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলে গরিব মানুষকে নারায়ণ ভান্ডার দেওয়া হবে, সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারও থাকবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাইপোকে দাঁড় করাতে গিয়ে হুগলি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায়কুন্তল, শান্তনুদের মতো লোকেদের তৈরি করছেন বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘পার্টিটা ফেসবুকে নয়, ময়দানে লড়াই করে করতে হবে। ফেসবুকে লেখালেখি বন্ধ করুন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝান। নিজেদের মধ্যে দলাদলি, দ্বন্দ্ব ভুলে যান। ফেসবুকে যদি বিপ্লব করার ইচ্ছা থাকে, তৃণমূলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে লিখুন। অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে লিখুন। অসীমা পাত্রের বিরুদ্ধে লিখুন।’’
ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র পরে বলেন, ‘‘ওরাগরির মানুষের একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে। ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না।’’ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘উনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি, এ দিকে হুগলির বিধায়কদেরভয় পাচ্ছেন!’’
এ দিন হরিদাসপুরে মঞ্চেসুকান্ত বলার সময়ে ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে লজ। কর্মীদের মোবাইলের আলোয়, সাউন্ডসিস্টেম ছাড়াই মিনিট কুড়ি বক্তৃতা করেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘‘এই কর্মিসভার জায়গা আরও বড় করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-পাখার ব্যবস্থা নেই।’’ ধনেখালিতেও দলীয় কর্মসূচি সেরেছেন সুকান্ত।