গোঘাটের কামারপুকুর চটি সারদা পল্লির মাঠে সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাড়ি তৈরির তালিকায় হুগলির আরামবাগের পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারীর স্ত্রী এবং দুই ভাইয়ের নাম রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মঙ্গলবার গোঘাটে কামারপুকুরে দলীয় সভায় এই অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
সমীর অভিযোগ মানেননি। প্রবীণ এই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘২০১৫-’১৬ সালে আমি কাউন্সিলর থাকার সময় আমার স্ত্রী এবং দুই ভাইয়ের নাম তালিকায় ওঠে। তা দেখা মাত্র, আমাদের বাড়ির প্রয়োজন নেই জানিয়ে নাম প্রত্যাহার করা হয়। গত দু’-এক ধরে এ নিয়ে ‘কিছু মানুষ’ জলঘোলা শুরু করেছেন।’’
সভায় সুকান্ত বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পঞ্চায়েত বা পুরসভা এলাকায় সাধারণ মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন কারা? তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারির স্ত্রী ও দুই ভাইয়ের নাম তালিকায় আছে।’’ তাঁর কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসাব যতই পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হোক, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলে বেড়ান, তিনি খুব গরিব। তা হলে তৃণমূলের সবাই বিপিএলভুক্ত হবে না-ই বা কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিপিএল। কুনাল ঘোষ বিপিএল। এখানে সমীর ভান্ডারীরাও বিপএল।’’
বিজেপি সভাপতির অভিযোগ খণ্ডন করে সমীর বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক ইতিহাস জানা সত্ত্বেও আবাস তালিকায় কী ভাবে আমাদের পরিবারের নাম তোলা হয়েছিল, কারা এ ভাবে আমাদের অপদস্থ করতে চেয়েছিলেন, সেটা সকলের জানা দরকার। তাই, জলঘোলা শুরু হতেই এ নিয়ে তদন্ত করে প্রকৃত বিষয়টি প্রকাশের জন্য জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকের (আরামবাগ) কাছে আবেদন জানিয়েছি।’’
সভায় তৃণমূলকে ‘এগিয়ে বাংলা’-র পরিবর্তে ‘এগিয়ে হ্যাংলা’ স্লোগান তোলার পরামর্শ দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “শুধু টাকা। টাকা দাও বলে মোদীজির কাছে ছুটছেন।’’ শিক্ষা-সহ নানা ক্ষেত্রে ‘তৃণমূলের দুর্নীতি’, রাজনৈতিক হিংসা এবং সংস্কৃতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে পোস্টার মারার কথা তোলেন তিনি। বাবুঘাটে বিজেপির মঞ্চ খুলে দেওয়া নিয়ে পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন।