—নিজস্ব চিত্র।
অতিমারি সঙ্কটে স্কুল বন্ধ থাকায় শিকেয় উঠেছে শিশুদের লেখাপড়া। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ অনলাইন ক্লাস। কিন্তু যাদের কাছে এই অনলাইন পড়াশোনার সুবিধা নেই? তাদের কথা ভেবেই ‘দুয়ারে পাঠশালা’ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন হুগলির পুরশুড়া ব্লকের চিলাডাঙ্গী উত্তরপাড়া প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রথীন ভৌমিক। শিক্ষক দিবসে ফুল, মিষ্টি, চকোলেট দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাল খুদে পড়ুয়ারা।
করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় খুদে প়ড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন রথীনবাবু। তার পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, গরিব পরিবারের শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়েই তিনি পড়াবেন। বিগত তিন-চার মাস ধরেই সেই কাজই করছেন তিনি। কোথাও বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা গুদাম ঘর বা কারও বাড়ির উঠোন। এলাকায় এই রকম ন’টি জায়গা বেছে নিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন সকালে, বিকেলে ও সন্ধ্যায় ঘণ্টা দুয়েক ক্লাস নেন তিনি। শুরুতে অনেক শিশুর বাবা, মায়েরা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুললেও পরে দুয়ারে পাঠশালার প্রয়োজনীয়তা বোঝেন তাঁরা।
রথীনবাবু বলেন, ‘‘বাড়িতে বসে কাজ না করে বেতন নিতে আমার খুব অস্বস্তি হয়। তাই ঠিক করি, কিছু একটা করতে হবে। তা ছাড়া শিক্ষক হিসেবে সমাজের কাছে আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। করোনায় ছাত্রছাত্রীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে পড়াব। ঠিক স্কুলের মতোই।’’