Manoranjan Byapari

‘পুরাতন’ ভুলতে চান মনোরঞ্জন, পোস্টে চর্চা

বিধায়ক হওয়া ইস্তক বলাগড়ে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব হন মনোরঞ্জন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমাজমাধ্যমে দলের দু’টি পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ০৯:২৮
Share:

তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। Sourced by the ABP

ফেলে আসা পথের পানে আর ফিরে তাকাতে চান না বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ‘পুরাতন’ ভুলে শুরু করতে চান নতুন ভাবে, নতুন কোনও পরিচয়ে। সোমবার ফেসবুক পোস্টে এমনই মন্তব্য তাঁর।

Advertisement

ছোট থেকে মনোরঞ্জনের সংগ্রামী জীবন। খ্যাতি এনে দেয় লেখক পরিচিতি। এখন বিধায়ক। কেন সব ভুলতে চান? শুরু হয়েছে চর্চা। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষেই তাঁর এই ভাবনার বহিঃপ্রকাশে রাজনৈতিক কারণ জড়িয়ে কি না, এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে নানা মত ঘুরছে।

মনোরঞ্জন নিজে জল্পনায় জল ঢালতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফেসবুকে যা লিখেছি, তার বাইরে একটা কথাও বলব না। মানুষের জীবনে চড়াই-উতরাই থাকেই। এখানে বলাগড়কে জুড়ে দেওয়া অনর্থক।’’ দলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপিত অরিন্দম গুঁইনের বক্তব্য, ‘‘কী অর্থে তিনি ওই কথা লিখেছেন, জানি না। পুরাতন ভুলে নতুন কী শুরু করবেন, সেটাওজানি না।’’

Advertisement

জীবনে গরু-ছাগল চড়ানো, দোকানে গ্লাস ধোওয়া থেকে রিকশা চালানো, ডোম-সাফাইকর্মীর কাজ, নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে যাওয়া, হাজতবাস— সবই ফেসবুকে লেখায় মনে করিয়েছেন মনোরঞ্জন। পরে লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশ, শেষে রাজনীতিতে প্রবেশের কথাও স্মরণ করেছেন। এর পরেই লিখেছেন, এত বছরে যে ঘৃণা বা নিন্দা জুটেছে, যে মান-সম্মান অর্জন করেছেন, সব ভুলতে চান।

বিধায়ক হওয়া ইস্তক বলাগড়ে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব হন মনোরঞ্জন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমাজমাধ্যমে দলের দু’টি পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তাঁর নতুন পথে চলার পিছনে বিধায়ক পদ ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নও ঘুরছে।

ব্লকের এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘আশাহত হয়ে বিধায়কের এই লেখা বলে মনে হচ্ছে।’’ অন্য এক নেতার বক্তব্য, ‘‘ভোটের আগে যা খুশি তাই বলে দলেই সমস্যা তৈরি করেছিলেন। এখন হয়তো বোধোদয় হয়েছে!’’ বিধায়কের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা তথা বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুরনো স্মৃতি ভোলা যায় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement