Uluberia Sub Division Court

কর্মী তলানিতে, কোর্টের কাজেও ভরসা সিভিক

সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মীর অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, অস্থায়ী কর্মী দিয়ে আদালতের কাজ চালানো যাবে না।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আসামিদের হাজিরার জন্য ডাক দিচ্ছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা! এজলাসে মামলার রেকর্ডও আনছেন তাঁরা!

Advertisement

এ দৃশ্য উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের। মূলত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, ভিড় সামলানো বা শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহযোগিতা করা যাঁদের কাজ, সেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বছরের পর বছর ওই আদালতের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজের সিংহভাগও সামলাতে হচ্ছে। কারণ, স্থায়ী কর্মীর অভাব।

আর জি কর-কাণ্ডে এক সিভিক ভলান্টিয়ার অন্যতম অভিযুক্ত হওয়ায় পুলিশ তথা রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়েছে। তার পরেও উলুবেড়িয়া আদালতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওই ভাবে ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীদের অনেকে। তাঁরা মনে করেন, আদালতের কাজে কিছু গোপনীয়তা থাকে। সে ক্ষেত্রে স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী, আদালতের কাজ নিজস্ব কর্মী দিয়েই করা বাঞ্ছনীয়।

Advertisement

সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মীর অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, অস্থায়ী কর্মী দিয়ে আদালতের কাজ চালানো যাবে না। একইসঙ্গে আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের নির্দেশও দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে অস্থায়ী কর্মীও নেই। সেই ফাঁক পূরণ করছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তাঁরাই হরেক রকম প্রশাসনিক কাজ করছেন এই আদালতে।

আদালতের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রের খবর, এখানে বহু বছর ধরে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে, স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। সেই কারণে আদালতের দৈনন্দিন কাজ সামলাতে সমস্যা হয়। সেই পরিস্থিতিতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়েই কাজ করানোর সিদ্ধান্ত হয়।

কী কাজ করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ওই বিভাগ সূত্রের খবর, আসামিদের হাজিরার জন্য ডাক দেওয়া, এজলাসে মামলার রেকর্ড আনা-সহ নানা কাজ করেন তাঁরা। এই সব কাজই আদালতের নিজস্ব কর্মীদের করার কথা। ওই আদালতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মিলিয়ে আটটি আদালত আছে। এ ছাড়া আছে পকসো আদালত। সব আদালতেই একই অবস্থা।

উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালত বার আসোসিয়েশন (ফৌজদারি) এর সহ-সভাপতি খায়রুল বাসার বলেন, ‘‘আদালতে কর্মীর অভাবের কথা আমরা বহুবার জেলা আদালতকে জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়!’’ গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, আদালতের চাহিদা মতো সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাঠানো হয়। তাঁদের কী ভাবে কাজে লাগানো হবে, তা পুলিশের দেখার কথা নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement