TMCP

কলেজ বন্ধ করে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির, কোন্নগরে সরব এসএফআই, সুর মেলাল টিএমসিপি-ও

‘দুয়ারে শিবির’-এর জন্য শনিবার বন্ধ নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজ। ‘আচমকা’ নোটিস দিয়ে কলেজে সরকারি শিবির চালানো নিয়ে সরব হয়েছে এসএফআই। একই সুর টিএমসিপি-রও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০৬
Share:

কলেজে ‘দুয়ারে সরকার’ সরকার শিবির ঘিরে বিতর্ক। — নিজস্ব চিত্র।

কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালানো নিয়ে সরব সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এ বার বাম ছাত্র সংগঠনের সুরে সুর মেলাল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-ও। শনিবার এই ছবি দেখা গিয়েছে হুগলির কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে।

Advertisement

‘দুয়ারে শিবির’-এর জন্য শনিবার বন্ধ নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজ। এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিসও। কিন্তু, ‘আচমকা’ নোটিস দিয়ে কলেজে সরকারি শিবির চালানো নিয়ে সরব হয়েছে এসএফআই। শনিবার জনা কয়েক এসএফআই কর্মীকে এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় কলেজ চত্বরে। এ নিয়ে এসএফআইয়ের হুগলি জেলার সভাপতি অর্ণব দাস বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবির একটা কেন, এক লক্ষ হতে পারে। কিন্তু কলেজের পঠনপাঠন বন্ধ করে, কলেজের প্যাডে নোটিস লেখা হচ্ছে এটা চলতে পারে না। এখানে অনেক মাঠ পড়ে আছে। সেখানে দুয়ারে সরকার শিবির হোক।’’

তৃণমূলের বিরোধিতায় বাম ছাত্র সংগঠনের পথে নামা নতুন বিষয় নয়। কিন্তু ‘চমক’ দিয়েছে টিএমসিপি। এসএফআইয়ের মতো সাধারণ ছাত্রদের ‘কথা’ শোনা গিয়েছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের গলাতেও। শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি শতদ্রু কর বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। এটা জনসাধারণের জন্য ভাল। কিন্তু কলেজ বন্ধ রেখে শিবির চালানো উচিত হয়নি। আমরা এর বিরোধিতা করছি। ছাত্র প্রতিনিধিদের অন্ধকারে রেখে এটা চলছে। এটা উচিত হয়নি। নবগ্রামে শিবির করার জন্য অনেক জায়গা আছে।’’ বাম ছাত্র সংগঠনের তেড়েফুঁড়ে ওঠা নিয়ে শতদ্রুর মত, ‘‘এসএফআই বলে কিছু নেই। কিছু ভুলের জন্য ওরা অক্সিজেন পাচ্ছে।’’

Advertisement

নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের সহকারী সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় পোদ্দারের মতে, ‘‘কলেজে দুয়ারে সরকার শিবির মাঝেমাঝেই হচ্ছে। কিন্তু সামনে আমাদের পরীক্ষা। এতে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে। আমার ছাত্রদের প্রতিনিধি। কিন্তু আমাদের না জানিয়েই এটা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানাব। আচমকা নোটিস দেওয়া হয়েছে কলেজে।’’

শনিবার কলেজ বন্ধ দেখে ফিরে গিয়েছেন বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী। তাঁদের মধ্যেই শাবানা খাতুন নামে কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ‘‘কলেজে এসে দেখলাম বন্ধ। কী কারণে বন্ধ জানি না। আমরা নোটিসের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না।’’

ওই কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা অপূর্ব মজুমদার অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছেন, এখন কলেজে পঠনপাঠন তেমন ভাবে হচ্ছে না। তাই কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘গত কাল যখন নোটিস দেওয়া হয়েছে, তখন কোনও ছাত্রছাত্রী এর বিরোধিতা করেননি।’’ এসএফআইয়ের প্রতিবাদ নিয়ে অপূর্বের কটাক্ষ, ‘‘ওরা ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন বলে ওরা উঠেপড়ে লেগেছে। সিপিএমের লোকজনই সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন এই শিবির থেকে। আমি দেখেছি, এলাকার এক সিপিএম নেতার স্ত্রীই লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement