প্রতীকী চিত্র।
এক মহিলাকে নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে তাঁর শাশুড়ি, ননদ ও নন্দাইকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা আদালতের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক ডুরি বেঙ্কট শ্রীনিবাস এই রায় দেন। মৃতা বধূর নাম পারমিতা বাগ। এই ঘটনায় তাঁর শাশুড়ি মীরা বাগ, নন্দাই সন্তু পাত্র ও ননদ মানসী পাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের ছ’হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। যা অনাদায়ে আরও ছ’মাস জেলে কাটাতে হবে। এই মামলায় উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে মৃতার স্বামী-সহ তিন জন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে ডোমজুড় থানা এলাকার রুদ্রপুরের বাসিন্দা স্বপন বাগের সঙ্গে বিয়ে হয় পাঁচলার বাসিন্দা পারমিতার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পারমিতার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি, তাঁকে ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হত না। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেই অত্যাচার সহ্য করার পরে ২০১২ সালের ৫ মে পারমিতা আত্মহত্যা করেন। সেই ঘটনায় পারমিতার পরিবারের তরফে ডোমজুড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মামলায় মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলা চলাকালীন অন্যতম অভিযুক্ত কার্তিক বাগ নামে এক আত্মীয় মারা যান। গত বুধবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ দিন রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এই মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন সৌমেন সেন।