চন্দননগরে গঙ্গা বাঁচাও কর্মসূচি। —নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গাদূষণ রোধ এবং গঙ্গা রক্ষায় নয়া কর্মসূচি নিল রাজ্য সরকার। সোমবার হুগলির চন্দননগরে শুরু হয়েছে ‘সেভ গঙ্গা’ কর্মসূচি। পথনাটিকার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো, মানুষকে গঙ্গার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করার জন্য ধারাবাহিক প্রচারের লক্ষ্য নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার চন্দননগরে এই কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্টরা। জানা গিয়েছে, আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এই সচেতনতামূলক প্রচার চলবে। গঙ্গার তীরবর্তী শহর এবং ঘাটে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাবে সরকার।
কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে জলের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে গঙ্গার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু কলকাতায় পানীয় জলের প্রধান উৎস গঙ্গায়, আবর্জনা ফেলে দূষিত করা হচ্ছে জল। এ ভাবে চলতে থাকলে একদিন বিশাল জলসঙ্কটের মুখে পড়তে হবে। তাই সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে পথনাটিকা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গঙ্গাদূষণ রোধে প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
সরকারি সূত্রে খবর, আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ওই কর্মসূচি চলবে। সোমবার চন্দননগরের জোড়াঘাট এবং রানিঘাটে পথনাটিকার অনুষ্ঠান হয়েছে। একই দিনে হুগলির চুঁচুড়ার দুটি ঘাটে একই অনুষ্ঠান হয়েছে। এর পর শ্রীরামপুরের গঙ্গার ঘাটগুলিতে ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠান হবে। এই ভাবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত হুগলির বিদ্যাবতী, কামারহাটি, কলকাতার শোভাবাজার, বাগবাজার, বাবুঘাট, জগন্নাথ ঘাট, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া, হালিশহর-সহ বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে এই সচেতনতা মূলক প্রচার করতে হবে।